বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ বীরভূমে, পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের

Himadri Mondal

Published on:

Advertisements

হিমাদ্রি মণ্ডল : ভোটের আগে ফের একবার উত্তপ্ত বীরভূম। বিজেপি এবং তৃণমূল দুই পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে রাজনৈতিক তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। আর তারই পুনরাবৃত্তি ঘটলো শনিবার সকালে সাঁইথিয়া বিধানসভার পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোমাইপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পাঁড়ুই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisements

এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, শনিবার সকাল থেকে ওই গ্রামের অঞ্চল সভাপতি সরজিৎ ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়। এলাকার বিজেপি নেতা ঘনশ্যাম মহারা দাবি করেছেন, “আজ আমাদের এই গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে আসার কথা ছিল। কিন্তু কোন কারণবশত সেই প্রচারের সূচি পরিবর্তন করা হয়। তবে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগাম তা জেনে এই প্রচারকে বানচাল করার জন্য নিজেদের বাড়িতে নিজেদের লোক দিয়ে বোমাবাজি করায়। আর তারপর শনিবার সকাল থেকে আনুমানিক ২০ জন দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়।”

Advertisements

যদিও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফ থেকে আনা এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সরজিৎ ঘোষ দাবি করেছেন, “শনিবার সকাল থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থক রা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আর এই ভাঙচুর করার পর মিথ্যা কেস সাজাবার চেষ্টা করছে। বরং গতকাল রাতে ঘনশ্যাম মাহারার নেতৃত্বেই চার-পাঁচজন আমার বাড়িতে বোমাবাজি করে। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এলাকায় বিজেপির কোনরকম সংগঠন না থাকায় এই সকল ঘটনা ঘটিয়ে তারা অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে।”

Advertisements

[aaroporuntag]
আর এই দুপক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে রয়েছে এলাকায়। আর এই উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি যাতে আরও ভয়ানক আকার না নেয় তার জন্য পাঁড়ুই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে এলাকায়।

Advertisements