লাল্টু ও হিমাদ্রি মণ্ডল : বীরভূমের ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে অনুব্রত গড়। কোথাও বিজেপি, কোথাও আবার তৃণমূল, একের পর এক এলাকায় আক্রান্ত রাজনৈতিক কর্মী সমর্থকরা। রাজনৈতিক এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরেই বজায় রয়েছে, পাশাপাশি শনিবার রাতে নতুন করে পরপর দুটি ঘটনা ঘটে। একটি ঘটনা ঘটে দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকায় এবং অন্যটি বোলপুর বিধানসভা এলাকায়।
দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোধ গ্রামে গত রাতে উত্তেজনা ছড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। যে ঘটনায় দুজন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাদের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দুজন বিজেপি কর্মীর মধ্যে শেখ রহিম নামে এক বিজেপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপি কর্মীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গতকাল রাতে তাদের এলাকায় স্থানীয়ভাবে আলোচনা সভা বসেছিল বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। সেই সময় অতর্কিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে এই সকল বিজেপি কর্মীরা আহত হন। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ রামচন্দ্রপুর ও বোধগ্রামের একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা মলয় মুখার্জি জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এমনিতেই তৃণমূলের ভালো সংগঠন রয়েছে। আর সেই সংগঠনকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য পায়ে পা লাগিয়ে বিজেপির তরফ থেকে ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা পুলিশের কাছে আবেদন করব ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে একই ভাবে উত্তেজনা ছড়ায় বীরভূমের বোলপুর বিধানসভার অন্তর্গত সুরুল গ্রামে। যেখানে এক তৃণমূল নেতা বাবু দাসের বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তরফ থেকে রাতের অন্ধকারে ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির তরফ থেকে পাল্টা হামলা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দেড়শ জনের বেশি বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে।