হিমাদ্রি মণ্ডল : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নির্বাচন কমিশন বীরভূমের ভোটের ৭২ ঘন্টা আগে মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটা থেকে নজরবন্দি করে। তবে এই নজরবন্দি থাকাকালীন বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎ কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে কোথায় যেন তিনি উধাও হয়ে যান। প্রায় তিন ঘন্টা লুকোচুরি খেলা চলার পর জানা যায় তিনি তারাপীঠ মন্দিরে তারা মায়ের পুজো দিচ্ছেন।
এই ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে কমিশনের চোখে ধুলো দেওয়া অবস্থায় অনুব্রত মণ্ডল বেশ কয়েকটি দলীয় কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠক করেন এবং পরবর্তীতে কমিশনের কাছে পুনরায় নজরবন্দি হওয়ার পরেও রামপুরহাটের দলীয় কর্মীদের সাথে আলোচনা এবং সিউড়ি দলীয় কার্যালয়ে এসে প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক করেন। আর ভোটের আগের দিন এইভাবে জেলার একাধিক দলীয় কার্যালয় ঘুরে বেড়ানোর পর প্রশ্ন উঠছে কি নির্দেশ দিলেন এই দাপটে তৃণমূল নেতা?
এই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডল কোন রকম মুখ না খুললেও বৈঠকের থাকা সিউড়ি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী মুখ খুলেছেন। অনুব্রত মণ্ডলের সাথে বৈঠক করার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কে আছে। আর এই আতঙ্ক দূর করে যেন মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোট দেয় তার ব্যবস্থা করতে হবে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। শেষ পর্যায়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবে।”
[aaroporuntag]
তবে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা অনুব্রত মণ্ডলের শেষ মুহূর্তের নির্দেশ নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধীরা কিন্তু নানান প্রশ্ন তুলছেন। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নির্বাচন কমিশন পুনরায় নোটিশ করে সতর্ক করে এদিনের ঘটনার জন্য।