হিমাদ্রি মণ্ডল : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই বীরভূম জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দাবি করে এসেছিলেন, ‘১১ তে ১১’ আর রাজ্যে ‘২২০ থেকে ২৩০’। আর তার এই ভবিষ্যদ্বাণী অনেকটাই মিলতে দেখা গেল রবিবার ভোট গণনা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই।
রবিবার ভোট গণনা যতই শেষের দিকে এগোচ্ছে ততোই দেখা যাচ্ছে রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখছে তৃণমূল। ৫০ বছরের ইতিহাসকে ধরে রাখতে দেখা গেল রাজ্যের জয়ী দল তৃণমূলকে। কারণ গত ৫০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করেছে তারা দু’শোর বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছে। অন্যদিকে বীরভূমের ফলাফলের ক্ষেত্রেও অপ্রত্যাশিত ফলাফল করল তৃণমূল।
বীরভূমের ক্ষেত্রে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। কেবলমাত্র দুবরাজপুর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী অনুপ সাহার কাছে হার স্বীকার করতে হলো তৃণমূলকে। আর এই জয়ের পর অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘এবারের নির্বাচনে বিজেপির চরম নোংরামো করেছে। কি প্রেসার। তবে আমার নাম কেষ্ট মন্ডল।’
[aaroporuntag]
বীরভূমে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা হলেন সিউড়ি বিধানসভার বিকাশ রায় চৌধুরী, সাঁইথিয়া বিধানসভার নিলাবতী সাহা, রামপুরহাট বিধানসভার ডঃ আশিস ব্যানার্জী, নলহাটি বিধানসভার রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং, মুরারই বিধানসভার মোশারফ হোসেন, ময়ূরেশ্বর বিধানসভার অভিজিৎ রায়, হাঁসন বিধানসভার ডাঃ অশোক চ্যাটার্জী, বোলপুর বিধানসভার চন্দ্রনাথ সিংহ, নানুর বিধানসভা বিধান চন্দ্র মাঝি এবং লাভপুর বিধানসভার অভিজিৎ সিংহ।