সাতসকালে সিউড়িতে Muthoot Finance সংস্থায় ডাকাতির চেষ্টা, গুলি ছুঁড়ে চম্পট দিলো দুষ্কৃতীরা

Himadri Mondal

Updated on:

Advertisements

হিমাদ্রি মণ্ডল : সাতসকালে বীরভূমের সদর শহর ব্যস্ততম সিউড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করলো দুষ্কৃতীরা। যদিও উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী দল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সিউড়ি থানার পুলিশের তরফে বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়েছে তদন্তের জন্য।

Advertisements

Advertisements

সোমবার সকালবেলা সিউড়ির মসজিদ মোড় এর কাছে টিকাপাড়া অবস্থিত
Muthoot Finance সংস্থার শাখা খোলার সময় ৫-৬ জনের একটি দুষ্কৃতী দল এই ডাকাতির উদ্দেশ্যে হানা দেয়। প্রথমে তারা ওই শাখায় ঢুকে নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্য কর্মীদের কানে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে সকলকে চুপ থাকার আদেশ দেওয়া হয়। তারপর তারা তাদের অপারেশন শুরু করেন। কিন্তু সাটার খোলার সময় নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন না করায় অ্যালার্ম বেজে উঠলে দুষ্কৃতীরা বেগতিক বুঝে শাখা ত্যাগ করেন। ব্যাঙ্কের শাখা থেকে নিচে নেমে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

Advertisements

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ওই দুষ্কৃতীর দল সিউড়ির মসজিদ মোড় এলাকা থেকে শুরু করে নিত্য কেবিন, আর টি ইস্কুল পর্যন্ত গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকার মানুষদের ভীতসন্ত্রস্ত করে এলাকা ত্যাগ করেন। হাজার খানেক লোক এই ঘটনার কথা জেনে এলাকায় জড়ো হন। অনেকেই ওই দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তারা কারণ হাতের নাগালে আসেননি। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা যে গুলি ছুঁড়ে সেই গুলিতে এক যুবক আহত হন। ওই যুবক বর্তমানে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল। একজন মোটরবাইক চালানোর পাশাপাশি তার পিছনে বসে থাকা অন্য একজন এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে চলে যান। তবে একটা সময় তাদের বন্দুকের গুলি শেষ হয়ে গিয়েছিল তা টের পাওয়া যাচ্ছিল। তবে তার পরেও কেউ সাহস করেননি তাদের কাছে যাওয়ার।

Muthoot Finance সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী মিঠুন মন্ডল জানিয়েছেন, “শাখা খোলার সময় এই ঘটনা ঘটে। ৫ থেকে ৬ জন দুষ্কৃতী হানা দেয়। আমাদের কানে বন্দুক ঠেকিয়ে আমাদের চুপ থাকতে বলা হয়। তবে তারা যখন বেগতিক বুঝে চম্পট দিতে শুরু করে তখন আমরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে লোকজন তাদের ধরার চেষ্টা করেন। তবে কেউ হাতের নাগালে আসেনি।”

ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি শুরু করেছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যাঙ্কের কর্মীদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। তবে সিউড়ির মত এলাকায় দিনে-দুপুরে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এদিনের এই ঘটনায় সিনেমার প্রেক্ষাপটকেও হার মানাবে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

Advertisements