নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ WhatsApp তাদের ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত মন জয় করার জন্য নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে। নতুন নতুন এই ফিচার নিয়ে আসার ধারাবাহিকতা বজায় থাকার পাশাপাশি তারা ভারতে নিয়ে এসেছে আর্থিক লেনদেনের মতো ব্যবস্থাও।
গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থা। তবে প্রথম দিকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য প্রতিটি ব্যবহারকারীকে এই সুবিধা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সমস্ত পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর প্রতিটি ব্যবহারকারীর অ্যাপের সঙ্গে এই আর্থিক লেনদেন পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। WhatsApp-এর UPI পদ্ধতিতে এই আর্থিক লেনদেনের নাম হল WhatsApp Pay।
WhatsApp Pay-এর সুবিধা প্রতিটি গ্রাহককে দেওয়ার পাশাপাশি এই ব্যবস্থাকে আরও ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য নতুন আপডেট আনা হয়েছে। নতুন আপডেট অনুযায়ী ব্যবহারকারীরা যেখানে চ্যাট করার জন্য টেক্সট মেসেজ অথবা ফাইল আপলোড করেন ঠিক তার পাশেই লক্ষ্য করা যাবে (₹) চিহ্ন। এই আপডেট আসার পর থেকেই সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে WhatsApp-এর এই UPI ব্যবহারের প্রতি ঝোঁকও বাড়ছে।
অন্যদিকে সংস্থা তাদের এই ব্যবস্থাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য আনতে চলেছে ক্যাশব্যাক অফার। এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। এই ক্যাশব্যাক অফার প্রদানের মাধ্যমে অন্যান্য UPI অ্যাপগুলি ভারতের বাজার ধরার ক্ষেত্রে বাজিমাত করেছে। আর এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে WhatsApp বলেই জানা যাচ্ছে।
ক্যাশব্যাক সুবিধা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবহারকারীদের দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন টেক ওয়েবসাইটের তরফ থেকে। এর জন্য তারা ব্যবহারকারীদের অ্যাপ আপডেট করার কথা বলছেন। এই অ্যাপ আপডেট করার পর আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি লেনদেনের পর পরবর্তী লেনদেনে ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর জন্য অ্যাপের মধ্যেই ‘Get cashback on your next payment’ নামে একটি অপশন দেখানো হচ্ছে।
WhatsApp is working on the possibility to get cashback after using WhatsApp UPI Payments in India, for a future update#WhatsApp
How many people are like this update of whatsapp…….? pic.twitter.com/X0eqENVLv0— Prasad RJ (@PrasadJ40278785) September 23, 2021
বর্তমানে ভারতের কোটি কোটি মানুষ WhatsApp অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। সেই জায়গায় তাদের এই লেনদেন ব্যবস্থা জনপ্রিয়তা অর্জন করলে ভারতের বিপুল অংশের বাজার তারা ধরে নিতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংস্থা এবার সেই দিকেই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।