নিজস্ব প্রতিবেদন : লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। অন্যান্য সমস্ত জিনিসের মত প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধির শিকার ভোজ্যতেল অর্থাৎ রান্নার তেল। তবে রান্নার তেলের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি যেন অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর এবার এই ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগ নিলো কেন্দ্র।
কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফ থেকে রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেল এবং তৈল বীজের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে এই সকল পণ্য মজুত করার উপর বিধিনিষেধ জারি করা হলো। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই সকল পণ্য মজুত করার ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হল। মজুতের উর্ধ্বসীমা ভেঙে দেওয়ার কারণে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে লাগাম টানা যাবে বলেই মনে করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা বজায় থাকবে আগামী ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
তবে ভোজ্যতেলের রপ্তানি এবং আমদানিকারক সংস্থাগুলিকে মজুত রাখার ক্ষেত্রে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এই নিয়মের আওতায় এই সকল সংস্থাগুলিকে থাকতে হলে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভোজ্য তেলের উপর করের হার কমানোর পরেও দাম না কমায়।
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জারি করা এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ভোজ্যতেলের মিলার এবং মজুতদারদের অবিলম্বে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করতে হবে তাদের কাছে এখন কত তেল মজুত রয়েছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার পরে ভোজ্যতেলের দাম কমতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক গত তিনদিন আগেই বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল, সরষে তেলের দাম ছাড়া বাকি অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম বর্তমানে ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ কমে এসেছে। এমত অবস্থায় দেশের মানুষ ভোজ্য তেলের দাম কমার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।