নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের আইন অনুযায়ী পণপ্রথা অপরাধ। বারংবার প্রচার চালানো এবং সেই সকল প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে সচেতনতা বৃদ্ধির পরেও দেশজুড়ে এই ছবির খামতি নেই। এখনো এই প্রথা বজায় রয়েছে সমাজের বহু স্তরের মধ্যেই। তবে একজন শিক্ষিত পাত্র, সরকারি কর্মচারী হয়ে এমন গোঁ ধরে বসবেন তা মেনে নেওয়া যায় না।
বিবাহ বাসরে এমন একজন শিক্ষিত পাত্রের এমন হুমকি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের চকলপুরে। সেখানকার এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন মহারাষ্ট্র সরকারের পাবলিক রিলেশনস দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর। ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে লক্ষ্য করা গিয়েছে, পাত্রকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হচ্ছে। পাত্র সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন এক এক করে। যেখানে ওই পাত্রকে বলতে শোনা যায় তিনি একজন সরকারি কর্মচারী এবং তার বাবা একজন শিক্ষক। যিনি ভিডিও করছিলেন তিনি তখন জিজ্ঞেস করেন, একজন শিক্ষিত পাত্র হয়ে এইভাবে পণ চাইতে লজ্জা লাগছে না?
এই প্রশ্নের উত্তরে সটান ওই শিক্ষিত পাত্র বলেন, ‘সবাই নিচ্ছে, কেউ ধরা পড়ে না।’ এরপর আবার তিনি একে একে নিজের দাবিদাওয়াগুলি বলতে শুরু করেন। তিনি দাবি করেছেন, কন্যাপক্ষ তাকে এখনো পর্যন্ত ১ লাখ টাকা নগদ, সোনার চেন, সোনার আংটি, অন্য আরও সোনার গয়না দিতে পারেন নি। কন্যাপক্ষ বরপক্ষের এই দাবীদাওয়া এবং গোঁ-এর পরিপ্রেক্ষিতে জানায়, নগদ এখন নিয়ে নিতে এবং বাকি সোনার গয়না কয়েকদিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ওই পাত্র এবং বরপক্ষ তা মেনে নিতে রাজি হননি।
इन्हे "लज्जा" क्यों नहीं आती..? pic.twitter.com/IarAkFQCRv
— Dayanand Kamble (@dayakamPR) March 6, 2022
এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার পর তা ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনরা ওই শিক্ষিত পাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি তোলেন। নেটিজেনদের দাবি, ওই পাত্র যে দপ্তরের কর্মী সেই দপ্তর থেকে তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত। পাশাপাশি তার বাবাকেও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।