নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার এই বিশ্ববিদ্যালয় শিরোনামে উঠে এলো এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যু ঘিরে। বিশ্বভারতীর ওই ছাত্র পাঠভবনের উত্তর শিক্ষা হোস্টেলে থাকতেন। যদিও তার এই রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলে এমনটা করতে পারেন না। তাকে কিছু খাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতীর পাঠভবনের উত্তর শিক্ষা হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ অসীম দাস নামে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বভারতীর পিয়ারলেস হাসপাতালের। যদিও হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ছাত্র অসীম দাস বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি নানুরের বনগাঁর। এইভাবেই ছেলের রহস্য মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে এসে উপস্থিত হন। সেখানে তারা উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান এবং তারপর শান্তিনিকেতন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মৃত ওই পড়ুয়ার বাবা সঞ্জীব দাস অভিযোগ করেছেন, গতকাল রাতেও খুব ভালোভাবে কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। কিন্তু তারপর সকাল বেলায় হঠাৎ বিশ্বভারতীর উদ্যোগ, যিনি তাদের আত্মীয় ফোন করে জানান, এমন ঘটনার কথা। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, তাদের ছেলে কোনদিন এইভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।
পড়ুয়ার এই রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের একাংশ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে।