নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে দু’বছর কৌশিকী অমাবস্যায় খালি খালি তারাপীঠ থাকার পর এবার ফের আগের ছন্দে। এই বছর তারাপীঠে ৫ থেকে ৭ লক্ষ পুণ্যার্থীদের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির তরফ থেকে একাধিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
তারাপীঠে আগত পুণ্যার্থীদের পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার জন্য জেলা পুলিশের কর্মচারীরা ছাড়াও বেসরকারি সংস্থার ৩৫০ থেকে ৪০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকছে।
পুণ্যার্থীদের কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য থাকছে মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য জরুরী ব্যবস্থা। দ্বারকা নদীতে বহু পুণ্যার্থী স্নান করতে যান, যে কারণে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার পাশাপাশি থাকছে ডুবুরি ব্যবস্থা। যাতে করে কোন রকম অঘটন ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
পুণ্যার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করে তারা মায়ের দর্শন করার পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে তারা মায়ের পুজো এবং সন্ধ্যা আরতি ও অঞ্জলি দেখতে পাবেন বাইরে থেকে। এর জন্য ১২ ফুট বাই ১২ ফুটের বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রীন লাগানো হয়েছে তারাপীঠের বিভিন্ন জায়গায়।
কৌশিকী অমাবস্যা মানেই যেন তারাপীঠ। এই কৌশিকী অমাবস্যা এবার শুরু হচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১২ টা ০২ মিনিটে। অমাবস্যা থাকবে শনিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। সারারাত তারাপীঠ মন্দির খোলা রাখা হবে পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য।