নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র কয়েক বছর আগে পর্যন্ত দেশ ছাড়া দেশের বাইরে নাম শোনা যেত না গৌতম আদানির। তবে সেই আদানি এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠলেন। এই গৌতম আদানি বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পত্তির মালিক হতে সক্ষম হয়েছেন, যিনি কিনা কলেজ পাশ করতে পারেননি। এমনকি এশিয়ার কোন ধনকুবের হিসাবে এই প্রথম এমন নজির স্পর্শ করলেন গৌতম আদানি। বর্তমানে গৌতম আদানীর আগে বিশ্বের ধনীতম তালিকায় রয়েছেন মাত্র দুজন। একজন এলন মাস্ক ও অপরজন জেফ বেজোস।
গৌতম আদানি হলেন আদানি গ্রুপের সহ প্রতিষ্ঠাতা। এই আদানি গোষ্ঠী হল দেশের বৃহত্তম বন্দর নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি এই সংস্থা দেশের বৃহত্তম কয়লা ব্যবসায়িক সংস্থা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা। তবে গৌতম আদানি আজ বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠলেও তিনি তার জীবন শুরু করেছিলেন সাধারণ একজন মানুষের মতই।
সাধারণ একজন পরিবারের সন্তানের মত শুরু করলেও ধীরে ধীরে তিনি তৈরি করেছেন তার বিশাল সাম্রাজ্য। তবে তাহলেও তিনি কখনো তার নিজের শিকড়ের প্রতি টান ভুলে যাননি। যে কারণেই তাকে মাঝে মাঝে ছুটে যেতে দেখা যায় যাননি তিনি। সময় পেলেই তাই চলে যান আদানি ফাউন্ডেশনের স্কুলে। এছাড়াও সময় কাটাতে দেখা যায় তাকে তার সাধারণ কোন কর্মীর বাড়িতে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স জানাচ্ছে, ১৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে আদানি টপকে গিয়েছেন ফ্রান্সের বের্নার্ড আরনাল্টকে। ডেটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া সব ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করেছেন আদানি। রিপোর্ট বলছে, আদানি ২০২২ সালে একাই সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে ৬০.৯ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এই টাকার পরিমাণ প্রায় পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা। আদানির এই সম্পত্তি বৃদ্ধি অন্যান্যদের তুলনায় অন্ততপক্ষে পাঁচ গুণ বেশি।
এর আগে ২০২১ সালে সম্পত্তির নিরিখে সমানে সমানে টক্কর চলেছিল আম্বানির সঙ্গে আদানির। ধনকুবেরদের তালিকায় কখনো আদানি, কখনো আবার আম্বানি একে অপরকে টপকাচ্ছিলেন। তবে ২০২২ সালে আম্বানিকে একপ্রকার পাকাপাকিভাবে টপকে দেন আদানি।