নিজস্ব প্রতিবেদন : হুগলি নদীতে দিন দুয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছিল নড়ে ভোলা মাছ। বিশালাকৃতির সেই নড়ে ভোলা মাছগুলি বেশ ভালো দামেই বিক্রি হয় ডায়মন্ড হারবারের বাজারে। অন্যদিকে বর্ষা কেটে গেলেও কোনভাবেই নিরাশ হতে দেখা যাচ্ছে না মৎস্যজীবীদের। বৃহস্পতিবারের পর ফের হুগলি নদী থেকে পাওয়া গেল দৈত্যাকার নড়ে ভোলা মাছ।
বৃহস্পতিবার মৎস্যজীবীদের জালে হুগলি নদী থেকে উঠেছিল ১৮টি বিশালাকৃতির নড়ে ভোলা মাছ আর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ওই একই নদী থেকে উঠল ৮৫টি বিশালাকৃতির নড়ে ভোলা মাছ। একসঙ্গে এত সংখ্যক নড়ে ভোলা মাছ মৎস্যজীবীদের জালে ওঠার ফলে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায় তাদের। একেবারে কোটিপতি হয়ে উঠেছেন তারা।
একসঙ্গে এতগুলি বড় আকারের নড়ে ভোলা মাছের দেখা মেলার কারণে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বেলপুকুরের রাঙাফলাতে। মাছগুলি পাঁচ ফুটের বলে জানা যাচ্ছে এবং সেই মাছগুলি ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজার মাছের আড়তে অকশন করা হয়। মাছগুলি বিপুল দামে বিক্রি করা হয় এবং জানা যাচ্ছে এই সকল মাছের এক একটি পটকার দাম ২ লক্ষ টাকা।
বৃহস্পতিবার মতিন জমাদার নামে যার জালে প্রথম ১৮টি নড়ে ভোলা মাছ ওঠে তারই জালে দ্বিতীয় দিন এই ৮৫টি নড়ে ভোলা মাছ ওঠে। মতিন জমাদারের সঙ্গে আরও চারজন মৎস্যজীবী ছিলেন এবং তারা প্রত্যেকেই এই মাছের জন্য পাওয়া টাকা নিজেদের মধ্যে শেয়ার অনুযায়ী ভাগ করে নিয়েছেন। তবে একসঙ্গে এতগুলি নড়ে ভোলা মাছ বেচে তারা এখন কোটিপতি।
মতিন জমাদারের ভাই জানিয়েছেন, তারা দু’দিন ধরে নয়াচরে বোল্ডারের কাছে জাল পাতেন৷ তাতে প্রথম দিন ১৮টি মাছ ওঠে এবং পরে ৮৫ পিস মাছ উঠেছে৷ একসঙ্গে এত মাছ ওঠার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভাগ্য বদলে গিয়েছে।