নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গে। ডিসেম্বরে তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নামলেও হঠাৎ তা উর্ধ্বমুখী হয় ঘূর্ণিঝড় মনসৌদের কারণে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও পড়েছে তাপমাত্রার উপর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চেন্নাইয়ে বৃষ্টি এবং দুর্যোগ পরিস্থিতি থাকার যেমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ চড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হওয়া অফিস। বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও যেভাবে উত্তুরে হাওয়া বাধা প্রাপ্ত হয়েছে তাতে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে হওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় মনসৌদ ছাড়াও আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গ শুষ্ক থাকলেও দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়বে। তবে নতুন করে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার প্রভাব কতটা পড়বে তা সম্পর্কে এখনই কিছু জানানো হয়নি হওয়া অফিসের তরফ থেকে।
মনসৌদ এখন শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে তামিলনাড়ুর উপর। নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে চেন্নাই সহ বিভিন্ন জায়গায় দুর্যোগের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। এর প্রভাবেই আগামী দুই থেকে তিন দিন দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনের তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
ঘূর্ণিঝড় মনসৌদ, আর আন্দামান সাগরে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাতে শীত বাঁধাপ্রাপ্ত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখেও জাঁকিয়ে শীত পড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।