নদীর বালিতে এত সোনা কোত্থেকে এলো! বাঁশলৈ নদীকে নিয়ে বাড়ছে রহস্য, চর্চায় অনুব্রত গড়

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নদী থেকে বালি তোলা নিয়ে একাধিকবার বীরভূমকে (Birbhum) উত্তপ্ত হতে দেখা গিয়েছে। বলাই বাহুল্য নদীর বালি নিয়ে বারবার চর্চায় এসেছে বীরভূম। কিন্তু এবার সেই নদীতেই বালির পরিবর্তে সোনা (Gold)! নদীর বালি খুঁড়লেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা, আর এই ঘটনাকে ঘিরে ফের একবার চর্চায় এসেছে অনুব্রত গড় (Anubrata Mondal)।

Advertisements

মুরারই ব্লকের অন্তর্গত পারকান্দি গ্রামের পাশে থাকা বাঁশলৈ নদীতে এইভাবে সোনা পাওয়ার ঘটনার খবর চাওয়ার হতেই বৃহস্পতিবার থেকে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফ থেকে ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে যাতে কেউ সেখানে নামতে না পারেন।

Advertisements

নদীর বালি থেকে এইভাবে সোনা পাওয়ার ঘটনার পর রামপুরহাট মহাকুমার মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের খবর দিয়েছেন ওই জায়গায় কিভাবে সোনা এলো তার খতিয়ে দেখার জন্য। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে এই সার্ভে টিম যতক্ষণ না আসছে ততক্ষণ পুলিশি ঘেরাটোপে থাকবে এলাকা।

Advertisements

তবে সবার মধ্যেই একটি প্রশ্ন জাগছে আর সেটি হল এই বিপুল পরিমাণ সোনা কোথায় থেকে এলো? সোনা কোথা থেকে এলো তা নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, মহেশপুর রাজবাড়ি ভেঙ্গে নদীর সঙ্গে মিশে যায়। সেক্ষেত্রে সেখান থেকেও এমন প্রাচীন অলংকার সহ মোহরের মতো জিনিস ভেসে চলে আসতে পারে। আবার কেউ কেউ এনিয়ে অন্য মত পোষণ করছেন।

বাঁশলৈ নদীর চরে সোনা পাওয়ার ঘটনায় নানান মত পোষণ করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা এলো এবং এগুলি আদৌ সোনা নাকি অন্য কিছু তা এখনো স্পষ্ট নয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার টিম এলাকায় এসে পৌঁছায়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।

তবে এখনো পর্যন্ত নদীর চর থেকে যে পরিমাণ সোনা পাওয়া গিয়েছে সেই সোনার অধিকাংশ গ্রামবাসীরা থানায় জমা দিয়ে এসেছেন। অনেকে দুষ্কৃতিদের ভয়ে আবার অনেকে এই ধরনের কুড়িয়ে পাওয়া শোনা হজম করতে পারবেন না এই ভয়ে থানায় জমা দেন। আবার পুলিশ খোঁজখবর শুরু করলে সেক্ষেত্রেও অশান্তি কিছু তাড়া করবে এমন ভয়ও অনেকে সোনা থানায় জমা দিয়ে এসেছেন।

Advertisements