ভ্রমন পিপাসু বাঙালির কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা হল গ্যাংটক (Gangtok)। পাহাড়ের প্রাণবন্ত সবুজে ঘেরা জঙ্গল, নদী ,ঝরনা , তুষারপাত,বরফ এ সব কিছুর অনুভূতি একসাথে পেতে চাইলে, আর বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘাকে (Kanchanjunga) যদি দেখতে চান আপনার ঘরের জানলা দিয়ে, তাহলে আপনাকে একবার উত্তর সিকিম (North Sikkim) আসতেই হবে। তার সাথে রয়েছে তিস্তা (Teesta) ও রঙ্গীত (Rangeet) নদী। তবে বেশির ভাগ অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরই পাহাড় অঞ্চলে বাইক রাইডের (Bike Tour) স্বপ্ন থাকে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকলে উত্তর সিকিমে বাইক নিয়ে না ঘোরাই ভালো।
একজন ভালো রাইডার এবং একজন দায়িত্বশীল রাইডারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সমতলের রাস্তায় বাইক চালানো সহজ। আর পাহাড়ী রাস্তায় ততটাই কঠিন। বিশেষ করে উত্তর সিকিমের (North Sikkim) রাস্তায় বাইক চালানো তো এক প্রকার ভয়ঙ্কর। সেখানে পাহাড়ের রাস্তাগুলি অত্যন্ত সরু এবং খাদের পাশে কোনও রেলিংও নেই। সেখানে সামনের গাড়িকে ওভারটেক করা ভীষণ বিপজ্জনক। তাই আত্ম-শৃঙ্খলার অভাব থাকলে সেখানে বাইক চালানো একেবারেই অনুচিত।
উত্তর সিকিমের (North Sikkim) রাস্তা অত্যন্ত এবড়ো খেবড়ো। পাহাড় চুড়োয় হাঁটতে গিয়ে যেমরকম সাবধান থাকতে হয়, তেমনই উত্তর সিকিমের রাস্তাতেও সাবধান ও সচেতন থাকতে হয়। না হলেই বিপদ। পাহাড়ের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে দেখতে বাইক চালালে রাস্তার গর্ত এবং পড়ে থাকা পাথরে ধাক্কা খাবেনই। একটি ভুল পদক্ষেপ বাইক সহ আরোহীকে সোজা লাচুং নদীতে আছড়ে ফেলতে পারে যেকোনো মুহূর্তে।
এছাড়াও উত্তর সিকিমে (North Sikkim) বাইক নিয়ে যেতে গেলে বাইকটিকে পারফেক্ট হতে হবে। সমতলের মত যেমন তেমন বাইক সেখানে চালানো যাবে না। বাইকের গিয়ার, চেইন সকেট, ব্রেক প্যাড, ব্রেক, ফ্লুইড, টায়ার, লাইট, ইন্ডিকেটর সবকিছু নিখুঁত থাকতে হবে। না হলে বাইক নিয়ে বিপদ ঘটতে বেশি সময় লাগবে না।
পাহাড়ে বাইক চালাতে গিয়ে রাইডাররা যেন বেশি উৎসাহী হয়ে পড়েন। পাহাড়ি পথে দারুণ কোনও স্টান্ট করলেই যেন জীবন সফল। কিন্তু মনে রাখা দরকার যে, বাইক চালানো মানে শুধু শক্তি আর আত্মবিশ্বাস দেখানো নয়, এটি হল আত্মবিশ্বাস, সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রণের এক মেলবন্ধন। এই তিন গুণ না থাকলে উত্তর সিকিমে বাইক r যাওয়াটা নিতান্তই বোকামি।