নিজস্ব প্রতিবেদন : মুরারই থানার (Murarai) অন্তর্গত পারকান্দি গ্রামে থাকা বাঁশলৈ নদীতে (Bansloi River) গত সপ্তাহে সোনার (Gold) অলংকার এবং সোনার মোহরের মতো মূল্যবান ধাতুর খোঁজ পাওয়া যায়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে স্থানীয়দের বির জমতে শুরু করে। তন্নতন্ন করে শুরু হয় সোনা খোঁজার কাজ। প্রথম দিকে প্রশাসনের তরফ থেকে সেই ভাবে নজর দেওয়া না হলেও পরবর্তীতে তৎপরতা শুরু হয়।
প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ার পাশাপাশি যারা ওই নদী থেকে সোনার অলংকার সহ মোহর ইত্যাদি কুড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা সেগুলি থানায় জমা করেন। এর পাশাপাশি ওই জায়গায় পুলিশি প্রহরা শুরু হয়। ২৪ ঘন্টা এলাকার ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে কেউ সেখানে নামতে না পারেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ দল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে খবর দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শনে আসছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। তারা ওই এলাকা পরিদর্শন এবং নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন। সেগুলি পর্যবেক্ষণ করার পর রিপোর্ট দেওয়া হবে। তবে বাঁশলৈ নদীতে সোনা খোঁজার পাশাপাশি বেরিয়ে আসছে প্রাচীন বিভিন্ন নিদর্শন। সোনা খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ নদীর মাঝে দেখা যায় একটি প্রাচীন কুয়ো।
নদীর মাঝে কিভাবে এমন কুয়ো এলো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দানা বাঁধতে শুরু করেছে রহস্য। ইতিহাসবিদদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাঁশলৈ নদীতে যে সোনা পাওয়া গিয়েছে সেগুলি উড়িষ্যার গঙ্গো রাজাদের মুদ্রা হতে পারে। তাদের আমলের মুদ্রার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে নদীতে কুড়িয়ে পাওয়া সোনার মোহরের মতো জিনিসগুলির।
অন্যদিকে নদীর মাঝে যে কুয়োর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে অনেকেই মনে করছেন, হয়তো এই এলাকায় বহু বছর আগে কোন সভ্যতা ছিল। পরবর্তীতে কোন কারণে তা ধ্বংস হয়ে যায় এবং তার ফলেই এখন এখানে এই ধরনের সোনার অলংকার পাওয়া যাচ্ছে। তবে ঠিক কি কারণে নদীর বুকে এইভাবে সোনার অলংকার এবং মোহর এলো তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের জন্য।