পঞ্চায়েত অফিসেই চোখে চোখে কথা হত, শ্বেতা-অয়নের এই গোপন কাহিনী আপনার অজানা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যতই তাদের তদন্তের জাল ছড়িয়ে দিচ্ছেন ততই হাতে আসছে দুর্নীতিবাজরা। এবার এই সকল দুর্নীতিবাজদের তালিকায় নাম উঠেছে অয়ন শীলের (Ayan Sil)। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এক এক জন দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নাম জড়াতে দেখা যাচ্ছে টলি সুন্দরীদের। ঠিক সেই রকমই অয়ন শিলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শ্বেতা চক্রবর্তীর (Sweta Chakraborty)।

Advertisements

অর্পিতা, হৈমন্তীর পর এবার শ্বেতা। এই শ্বেতা চক্রবর্তী এখন আলোচনার সবচেয়ে বড় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রশ্ন হল শ্বেতা চক্রবর্তী সঙ্গে অয়নের সম্পর্ক কোথায় থেকে শুরু? এর খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, পঞ্চায়েত অফিসেই চোখে চোখে কথা হতো দুজনের। এমনকি তাদের সম্পর্কের টান এতটাই ছিল যে একজন চাকরি ছেড়ে দেওয়াতে অন্যজনও এক বছর পর চাকরি ছেড়ে দেন।

Advertisements

২০১৭ সালে শ্বেতা জিরাট বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ট্রান্সফার হয়ে ডুমুরদোহো পঞ্চায়েতে সহকারি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্ত হন। সেখানেই ২০১৫ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন অয়ন শীল। ওই পঞ্চায়েতে কর্মরত অবস্থায় শ্বেতা চক্রবর্তী চাকরি ছেড়ে দেন এবং তার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর উদাসীন হয়ে পড়েন অয়ন। কাজে তার মন বসতো না। এমনকি বছর খানেকের মধ্যেই অয়ন শীলও চাকরি ছেড়ে দেন।

Advertisements

পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শ্যামা প্রসাদ রায় দাবি করেছেন, শ্বেতা চক্রবর্তী অয়নের গাড়িতেই যাতায়াত করতেন। যদিও তিনি আরও দাবি করেছেন, পঞ্চায়েতে কাজের ক্ষেত্রে অয়ন অনিয়মিত হওয়ার ফলে কাজের ক্ষেত্রে তাদের চরম সমস্যা হতো। এমনকি দিনের পর দিন অফিসে না গিয়ে বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে অয়নের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্র এবং অন্যান্য সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে অয়ন শীল পঞ্চায়েতে চাকরিতে থাকাকালীনই নিয়োগ দুর্নীতিতে হাত পাঠিয়ে ছিলেন। যদিও কানাঘুষো অয়ন এবং শ্বেতাকে নিয়ে যে সকল কথা শোনা যাচ্ছে তা রীতিমত অস্বীকার করেছেন শ্বেতা চক্রবর্তী। লেনদেনের বিষয়েও তিনি দাবি করেছেন, কাজের বিনিময়েই যা পেয়েছেন।

Advertisements