বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম এভারেস্ট (Evarest)। আমাদের হিমালয় (Himalaya) পর্বতেরও সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এটি। বিশ্বের এই সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গটির উচ্চতা ৮৮৪৮.৬ মিটার। বিজ্ঞানীদের দাবি, মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা প্রতি বছর ২ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভারেস্ট শৃঙ্গ প্রথম জয় করেন তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি। এর পরেও বহু পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন (Everest Summit)। আসলে এবারেস্টে উঠতে অনেক সাহস, উদ্যম এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। তার সাথে আরো একটি জিনিস প্রয়োজন সেটা হলো পর্যাপ্ত অর্থ।
মাউন্ট এভারেস্ট নেপাল (Nepal) এবং তিব্বত সীমান্তের মাঝে অবস্থিত। যদিও এখানে পৌঁছানোর বেশ কয়েকটি পথ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ পর্বতারোহীই সাধারণত দুটি পথ বেছে নেন। নেপাল দক্ষিণ রুট এবং তিব্বতের (Tibbet) উত্তর রুট। বেশিরভাগ ট্রেকিং (Treking) সংস্থাগুলিই নেপালে অবস্থিত। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে শুরু করে, দক্ষিণ রুটে (South Col) আরোহণকারী লোকেরা লুকলা গ্রামে পৌঁছায় এবং যাত্রী বেস ক্যাম্পে পায়ে হেঁটে তাদের যাত্রা শুরু করে। তিব্বতে থেকে এভারেস্ট আরোহণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে শারীরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। যারা সত্যিই এই শৃঙ্গে উঠতে চান, তাঁরা মাসের পর মাস এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। আরোহণের জন্য সঠিক আবহাওয়ার অপেক্ষা করতে হয়।
এভারেস্টে চড়ার (Everest Summit) অনুমতি বা পারমিট পেতে একজন বিদেশি পর্বতারোহীকে নেপাল সরকারকে দিতে হয় ১১ হাজার ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। সেইসঙ্গে একজন দক্ষ গাইডকেও প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিতে হয়। আবার নেপালের বাসিন্দা কেউ যদি এভারেস্টে চড়তে চান তাঁকে পারমিটের জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার নেপালি মুদ্রা। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৭ হাজার টাকা।
মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের (Everest Summit) চেয়ে গাড়ি কেনার খরচ কম। এর জন্য পর্বতারোহীকে এভারেস্টে উঠতে গেলে ২৪,৬৭,০০৫ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। নেপাল বা তিব্বত সরকারের কাছ থেকে ক্লাইম্বিং পারমিট, বোতলজাত অক্সিজেন এবং হাই অ্যাল্টিটিউড গিয়ারের জন্য ৯,০৪,৫৬৮ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ এবং বুট।