রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক আইন ভাঙলে আর রক্ষে পাওয়ার সুযোগ থাকছে না বিন্দুমাত্র। একদম ট্রাফিক নিয়ম মেনে রাস্তাঘাটে এবার চলাফেরা করতে হবে গাড়ি, বাইক চালকদের। নয়তো সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে চালান।
এতদিন হয়তো কখনো সখনো কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মীর চোখে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। হয়তো ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন রাস্তায় লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাকেও। তবে আর উপায় নেই। রাস্তায় এদিক থেকে ওদিক হলেই চালান পৌঁছে যাবে ঘরে। তাও আবার নিমেষের মধ্যেই।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিগত কয়েক বছর ধরেই টেকনোলজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। তবে এ আই পরিচালিত চ্যাটবট লঞ্চের পর থেকে AI এর গুরুত্ব যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নানা দিকে চলছে আলোচনা। এবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে রাস্তাঘাটে ব্যবহার করতে চাইছে সরকার। সম্প্রতি এমনই একটি সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে।
ট্রাফিক নজরদারিতে এবার এআই পরিচালিত ক্যামেরা ব্যবহার করতে চাইছে সরকার। যানজটপূর্ণ রাস্তায় হয়তো সব সময় সব দিকে সজাগ থাকতে পারেন না কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মীরা। সেজন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় লাগানো হয়েছিল ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভাঙলে এই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করেই ই চালান সিস্টেমের মাধ্যমে কাটা হত ফাইন। সেই ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করতে সরকার রাস্তাঘাটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত ক্যামেরা ব্যবহার করতে চাইছে সরকার।
অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির ব্যবহার এবার করতে চলেছে দিল্লির সরকার। দিল্লি সরকারের পরিবহন দপ্তর একাধিক এআই পরিচালিত ক্যামেরা রাস্তায় ব্যবহার করতে চলেছে। শহরের একাধিক এন্ট্রি পয়েন্টে এই ক্যামেরাগুলি লাগানো হবে। এই ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে, বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে, তেমনটা নয়। এর সঙ্গে এআই ক্যামেরা গাড়ির নম্বর প্লেট পড়ে ফেলতে সক্ষম। এই ক্যামেরা ব্যবহার করে গাড়ির মালিক এবং গাড়ি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও পাওয়া যাবে।
এআই ক্যামেরা যুক্ত থাকবে ই চালান সিস্টেমের সঙ্গে। যুক্ত থাকবে পরিবেশগত ক্ষতির সেন্সরের সঙ্গেও। এই ক্যামেরা লাগানোর জন্য টেন্ডার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি ১৩ টি এন্ট্রি পয়েন্টে লাগানো হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ক্যামেরা। প্রত্যেকটি লেনে দুটি করে ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে।