Swasthya Sathi : স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা নিয়ে চলছিল জালিয়াতি। স্থানীয় এবং মাঝারি মাপের নার্সিংহোম গুলিতে এই ধরনের জালিয়াতি বিশেষভাবে চলছিল। যা চোখ এড়ায় নি স্বাস্থ্য দপ্তরের। ভুয়ো চিকিৎসা দেখিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে লুট হচ্ছিল টাকা। তা বন্ধ করতে এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল নবান্ন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ আপডেট আপনার জেনে রাখা উচিত। নয়তো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় করতে পারেন।
কি বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা জানার আগে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে চলছিল জালিয়াতি। সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, কেমো থেরাপির নামে চলছিল এই জালিয়াতি। ওরাল কেমো এবং ইজেক্টবল কেমো দেখিয়ে এই জালিয়াতি করা হচ্ছিল। দেখা গিয়েছে আদতে যাদের নামে বিল তৈরি করা হয়েছে, তারা ভুয়ো। অর্থাৎ ভুয়ো রোগী দেখিয়ে এই জালিয়াতি চলছিল।
সেই জালিয়াতি রুখতে এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদল করা হয়েছে নিয়মে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই নবান্নের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বড় হাসপাতাল ছাড়া আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কেমোথেরাপি নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
তাহলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কোথায় কেমোথেরাপি পরিষেবা পাওয়া যাবে? নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতাল, যেখানে অনকোলজি বিভাগ রয়েছে, এমন হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন গ্রাহ্য হবে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার আওতায়। বেসরকারি ক্ষেত্রে সেই সব হাসপাতালেরই কেমোথেরাপিকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মান্যতা দেওয়া হবে, যে সব হাসপাতালে একসঙ্গে মেডিক্যাল অঙ্কোলজি, সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি ও রেডিয়েশন অঙ্কোলজির ব্যবস্থা আছে।
তবে শুধু কেমোথেরাপি নয়। একইসঙ্গে চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বদল এসেছে। চোখের চিকিৎসা জন্য ব্যবহৃত দামি কিছু ইনজেকশন এর দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি প্রোটোকলের প্রতিটি সাইকেলের প্রেসক্রিপশন ও অন্যান্য নথি ওই হাসপাতালকে আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টালে। ওরাল কেমোথেরাপির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।