Why tungnath Shiva Temple is gradually bending: সারা ভারতে বিভিন্ন জায়গায় বহু শিবমন্দির রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো তুঙ্গনাথ মন্দির (Tungnath Shiva Temple)। এই শিবমন্দিরটি রুদ্রপ্রয়াগে প্রায় ১২৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি শিব ভক্তদের কাছে খুবই পবিত্র জায়গা, ঠিক সেরকমই পুরাতাত্ত্বিকদের কাছেও মন্দিরটির গুরুত্ব অনেক। জানেন কি অষ্টম শতকে নির্মিত এই মন্দিরটিই বিশ্বের উচ্চতম শিব মন্দির হিসাবে পরিচিত।
সম্প্রতি কিন্তু এই মন্দিরই (Tungnath Shiva Temple) হেলে যাচ্ছে বিশেষ এক দিকে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রায় ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বেঁকে যাচ্ছে মন্দিরের চূড়া। মূল মন্দির বাদেও মন্দির চত্বরে যে ছোট ছোট স্থাপত্যগুলি আছে, সেগুলি বেঁকে গিয়েছে প্রায় ১০ ডিগ্রি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চিন্তিত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
আসলে এই শিব মন্দিরটি (Tungnath Shiva Temple) অষ্টম শতকে তৈরি হওয়ার ফলে স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের দিক থেকে মন্দিরটির গুরুত্ব অপরিসীম। যেহেতু এটি বিশ্বের উচ্চতম শিব মন্দির তাই এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভক্তদের আবেগও। কিন্তু তড়িঘড়ি কাজ শুরু না করে, বিশিষ্টদের মতামত নিয়েই পদক্ষেপ নেবার পক্ষপাতী প্রশাসন।
সম্প্রতি মন্দিরটির দেখভালের দায়িত্বে আছে বদ্রী-কেদার মন্দির কমিটির উপর। এই সংস্থাকেও চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টিকে জানানো হয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে বিশদ আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। এই মুহূর্তে একটাই লক্ষ্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বার করা। এই মুহূর্তে যে কোনোভাবে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে রক্ষা করাই হলো সকলের লক্ষ্য। মন্দিরের সদস্যদের এবং প্রশাসনের তৎপরতাই হল এর সবথেকে বড় প্রমাণ।
কেনো ঘটছে এই ঘটনা? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, প্রথমত মাপজোক করে দেখা হচ্ছে, মন্দিরটি ঠিক কতটা হেলে পড়েছে। সেটা থেকেই অনুমান করা যাবে আসল কারণটি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি সমস্যা সামান্য মেরামতের মাধ্যমে মিটে যায় তাহলে তো খুব ভালো কিন্তু সমস্যা বড় হলেই বিশাল বড় রকমের পরিবর্তন করতে হবে। পরিকল্পনা মত মন্দিরটিকে বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তরাখন্ড কিছুদিন আগেই বিশাল ধসের সম্মুখীন হয়েছিল। যোশিমঠের ঘটনা রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গোটা দেশে। তবে ভূমিধ্বসের দরুণ মন্দিরের বেঁকে যাওয়া বা হেলে পড়ার সম্ভাবনা একেবারে মিথ্যে না। আর তা যদি হয়ে থাকে, তাহলে বড় মাপের মেরামতি ছাড়া মন্দিরকে রক্ষা করা যাবেনা। ব্যাপারটি নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এএসআই। মন্দিরটি অবশ্যই জাতীয় ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত তাই সংরক্ষিত করার ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত সংরক্ষণের কাজ শুরু করার জন্য মন্দির গুলো কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকেদের মতামত প্রয়োজন।