Next year 2023 to 2027 is going to be the hottest year on earth: গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming) এর প্রভাবে পৃথিবীর আবহাওয়া ও উষ্ণতার যে ভালো রকম তারতম্য ঘটেছে, তা বিশ্বের মানুষ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারছে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ জারি করল চরম এক সতর্কবার্তা। আগামী পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৩-২০২৭ পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে উষ্ণতম সাল। পৃথিবীর মানুষের জন্য দুঃসংবাদ হল, আগামী পাঁচ বছর পৃথিবীর বুকে এল নিনো এবং গ্রীন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে তাপমাত্রা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
এই কারণেই তাপমাত্রা দিনের পর দিন পাচ্ছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া সংগঠন (WMO) জানিয়েছে যে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, আগামী দিনে কিন্তু সেই মাপকাঠি ছাড়িয়ে যাবে এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা (Global Warming)। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাবে বহু বছর ধরে বরফ গলতে শুরু করেছে। এরপর শুরু হবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি।
WMO এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী উষ্ণতম (Global Warming) পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত একটি বছর এমন যাবে, যে বছর আবহাওয়া ও উষ্ণতার সব রকম রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামীদিনে এরকম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সব থেকে বেশি। তাই মানুষকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। এই মুহূর্তে এটাই সবথেকে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছে WMO।
এর পাশাপাশি একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও অনেক সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই চুক্তিতে বিশ্ব উষ্ণায়ন আটকানোর জন্য একজোট হতে সম্মতি দিয়েছিল বহু দেশ।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা (Global Warming) যেরকম ছিল গড়ে তার থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম রাখার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়েছিল। আজ সবই বিফলে চলে গেছে। গত বছর দেখা যায়, ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালে যেরকম তাপমাত্রা ছিল সেটার তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশিই হয়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। এটি সত্যিই আগামী প্রজন্মের জন্য খুবই ভয়ংকর। জানেন কি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১.১ সেলসিয়াস থেকে ১.৮ সেলসিয়ার পর্যন্ত বাড়তে পারে পৃথিবীর তাপমাত্রা, যা সত্যি সাধারণ মানুষের কাছে আশঙ্কার।