বিদ্যের দৌড় ক্লাস ফাইভ! ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সেজে ১৫ সুন্দরীকে বিয়ে করলেন এই যুবক

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন সংবাদপত্র অথবা অন্যান্য জায়গায় যে সকল বিয়ের শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তা দেখেই এক যুবক বিরাট ফাঁদ পাততেন। যে সকল বিজ্ঞাপন দেখে পাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একে একে ১৫টি বিয়ে সেরে ফেলেছেন। ওই যুবকের এমন কর্মকাণ্ড দেখে রীতিমতো থ পুলিশ। থ হবেনই না বা কেন!

মাইসোর পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করার পর জানা যায়, যুবক কখনো নিজেকে ডাক্তার, কখনো ইঞ্জিনিয়ার আবার কখনো ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে একের পর এক বিয়ে সেরে ফেলেছেন। ২০১৪ সাল থেকে এইভাবে বিয়ের ফাঁদ পেতে ইতিমধ্যেই তিনি ১৫ জনকে বিয়ে করেছেন। এছাড়াও তার চারটি সন্তান রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

এমন সুন্দর পরিকল্পনা করেও শেষমেশ রক্ষা হলো না যখন সম্প্রতি তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবতীই ওই যুবকের এমন পরিকল্পনা ধরে ফেলেন। ওই যুবকের পরিকল্পনা ধরে ফেলার পর তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ওই যুবক হলেন বেঙ্গালুর বাসিন্দা মহেশ কে বি নায়েক। তার বয়স ৩৫ বছর।

ওই যুবককে গ্রেফতার করার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, নিজেকে কখনো ডাক্তার, কখনো ইঞ্জিনিয়ার অথবা কখনো ঠিকাদার পরিচয় দেওয়া ওই যুবক আদতে পঞ্চম শ্রেণী পাস। এমনকি নিজের প্রতারণার ফাঁদ যাতে অন্য কারোর ধরা পড়ে না যায় তার জন্য তিনি নিজে একটি ভুয়ো ক্লিনিকও খুলেছিলেন। এমনকি সেখানে তিনি একজন নার্সকে রেখেছিলেন, যাতে কেউ ঘুণাক্ষরেও টের না পায় ওই যুবক আসলে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ডাক্তার সেজে বসে রয়েছেন।

তবে এতসব করেও ওই যুবককে বারবার হোঁচট খেতে হতো ইংরেজি বলার ক্ষেত্রে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবতী তার প্রতারণার ফাঁদ ধরে ফেলেন। অন্যদিকে ওই যুবতী দাবি করেছেন, ওই যুবক ক্লিনিক খোলার জন্য টাকা পয়সা দাবি করেছিলেন আর সেই দাবি না মেটানোর জন্য তার কাছে যে সকল টাকা, গয়না ছিল তা নিয়ে চম্পট দেন।

ওই যুবক মূলত যে সকল মহিলারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদেরকেই বেছে বেছে বিয়ে করতেন। এরপর তাদের থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে চম্পট দিতেন। অন্যদিকে ওই যুবক চম্পট দিলেও লোক লজ্জার ভয়ে প্রতারিত হওয়া যুবতীরা কিছু সামনে আনতেন না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতেন ওই যুবক। তবে ধরা পড়ার পর আপাতত তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।