ফেব্রুয়ারি থেকে আরও সহজ হচ্ছে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ, যেতে হবে না ২১ কিমি পথ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালিরা সুযোগ পেলেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান আর যে কারণেই তাদের বলা হয় ভ্রমণপিপাসু। দক্ষিণের বাঙ্গালীদের ঘুরতে যাওয়ার যে সকল জায়গা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে টান বেশি উত্তরবঙ্গের দিকেই। কেননা এখানে রয়েছে পাহাড় থেকে শুরু করে নানান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর কোলাহল মুক্ত পরিবেশ। এবার এই সকল দক্ষিণের বাঙ্গালীদের উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের (Uttarbanga Tour) জন্য মিলল দারুণ এক সুখবর। কেননা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ আরও সহজ হচ্ছে ২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি না দিয়েই।

বর্তমানে ট্রেনে চড়ে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার ক্ষেত্রে হাওড়া থেকে আজিমগঞ্জ হয়ে যে সকল ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন যায় তাদের পাড়ি দিতে হয় ৫৬৭ কিলোমিটার। আবার শিয়ালদা থেকে আজিমগঞ্জ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য পাড়ি দিতে হয় ৫৭৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে হাওড়া থেকে বোলপুর, রামপুরহাট হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন যেতে পাড়ি দিতে হয় ৫৭৩ কিলোমিটার। কিন্তু এবার ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২১ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিয়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন।

কিভাবে? ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে দেশের কোনায় কোনায় রেল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়ার জন্য নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাদের এই সকল পদক্ষেপের মধ্যে নতুন নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন সেতু। আর এই সকল নতুন নতুন রেল ট্র্যাক এবং নতুন নতুন সেতুর পরিপ্রেক্ষিতেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার দূরত্ব অনেক কমে যাচ্ছে।

ঠিক সেই রকমই মুর্শিদাবাদের নসিপুরে (Nashipur Rail Bridge) রেলের দীর্ঘ কয়েক বছর আগেই একটি সেতু তৈরি করার কাজ শুরু হয়। পরে সেই রেল সেতু তৈরির কাজ আটকে যায় জমি জটের কারণে। তবে সম্প্রতি সেই জমিজত মিটিয়ে পুরোদমে চলছে রেল সেতু নির্মাণের কাজ। শনিবার এই রেলসেতু নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করতে এসে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমর প্রকাশ দ্বিবেদী ঘোষণা করেন, চলতি বছর ডিসেম্বর মাসেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে আর পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুরো মাত্রায় এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন ছুটবে।

এই সেতুর উপর দিয়ে পুরো মাত্রায় ট্রেন ছোটা শুরু হলে শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার দূরত্ব কমে যাবে ২১ কিলোমিটার অর্থাৎ পাড়ি দিতে হবে ৫৫৩ কিলোমিটার। এছাড়াও এই সেতু নির্মাণের ফলে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং বহরমপুর থেকে আরও অতিরিক্ত উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন ছাড়া হতে পারে।