Know the story of Ratan Tata becoming the Chairman of Tata Group: রতন নেভাল টাটা, সাধারণত রতন টাটা নামে পরিচিত, যার সম্পর্কে বোধ হয় আলাদা করে ব্যক্ত করার কিছু নেই। শিল্পপতি, উদ্যোক্তা এবং টাটা সন্সের চেয়ারম্যান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার জনহিতকর কর্মকাণ্ডের জন্য সুপরিচিত। ২৮শে ডিসেম্বর, ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে আজকের এই বিজনেসের মহারাজা জন্মের পরে কিন্তু টাটা গ্রুপের মালিকানা পাননি, তার জীবনও অনেক চড়াই উতরাই এর মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তো চলুন আজকের প্রতিবেদনে রতন টাটার জীবনের অজানা কিছু কাহিনী জেনে নেব। টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামসেটজি টাটা হলেন রতন টাটার প্রপিতামহ। ১৯৪৮ সালে রতন টাটার (Ratan Tata) বাবা-মার বিচ্ছেদ ঘটে। তখন তিনি বয়স মাত্র ১০ বছর। সেই থেকে তিনি তার দিদা নওয়াজবাই টাটার কাছে বড় হন।
১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে রতন টাটা ভারতে ফিরে আসেন। সেই মুহূর্তে তিনি আমেরিকাতেই চিরকালীন বসবাসের স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু ভারত-চীনের এই যুদ্ধ তাকে আর আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা করতে দেয়নি। যার ফলে তাকে নিজের দেশেই ফিরতে হয়। তবে দেশের ফেরার পরেই যে তিনি নিজের কোম্পানিতে তার অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন, তেমনটি কিন্তু একদমই নয়।
শুনে অবাক লাগতে পারে যে ভারতের আসার পর তিনি অন্যান্য সাধারণ মানুষদের মতো প্রথম একটি কোম্পানিতে কাজ নিয়েছিলেন। সেই কোম্পানির নাম হল IBM। যদিও এই কথা তিনি তার পরিবারের সদস্যদের জানতে দেননি। একদিন হঠাৎ প্রকাশ্যে আসে তার এই চাকরির কথা। ঠিক সেই মুহূর্তে যে জেআরডি টাটা তাকে ফোন কলের মাধ্যমে জানান যে, এই সাধারণ চাকরি তার জন্য নয়। তার জন্য অপেক্ষা করছে গোটা টাটা গ্রুপ। তবে জেআরডি টাটার সুপারিশে কিন্তু তিনি টাটা গ্রুপে যুক্ত হননি। অন্যান্য চাকরিরত কর্মচারীদের মতো রতন টাটা (Ratan Tata) কেও তার বায়োডাটা পাঠাতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন ? Why Ratan Tata is Not Married: বিয়ে হতে হতেও হয়নি রতন টাটার! পিছনে ছিল এই ২ কারণ
এরপর রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা গ্রুপের সাথে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং তার প্রথম কাজ ছিল টাটা স্টিলের ম্যানেজিং অপারেশনে। পরে তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর কর্নেল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ আর্কিটেকচারে ডিগ্রী অর্জন করেন। রতন টাটা ১৯৯১ সালে গিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণের পরেই টাটা সন্স এবং টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন।
২০০৪ সালে TCS পাবলিক তৈরি করেন। তার নেতৃত্বের পরই টাটা গ্রুপ বিশ্বব্যাপী নজর কাড়ে। টানা ২১ বছর তিনি দক্ষ হাতে এবং সূক্ষ বুদ্ধিতে টাটা গ্রুপকে পরিচালনা করে ১০০ টি দেশে টাটা গ্রুপকে ছড়িয়ে দেন। আজ ৮৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে রতন টাটার জীবনের এই পুরনো পাঠ সকলের সামনে উঠে আসলো।