Why Ratan Tata is Not Married: বিয়ে হতে হতেও হয়নি রতন টাটার! পিছনে ছিল এই ২ কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল শিল্পপতিরা রয়েছেন তাদের মধ্যে রতন টাটা (Ratan Tata) অন্যতম। আবার রতন টাটা এমন একজন মানুষ যাকে শুধু শিল্পপতি বলাটা ভুল হবে। কেননা সামাজিক দিক দিয়েও তার অবদান ভোলার নয়। শুধু রতন টাটা নন, পুরো টাটা গোষ্ঠী (Tata Group) বহু দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মসিহা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এর পাশাপাশি রতন টাটার জীবন নিয়েও আমজনতার মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।

রতন টাটাকে নিয়ে যেসব কৌতূহল রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো, কেন তিনি বিয়ে (Why Ratan Tata is Not Married) করেননি? রতন টাটার বিয়ে না করার পিছনে মূল কারণ ছিল দুটি। আর সেইসব কারণ জানতে হলে ফিরে যেতে হবে রতন টাটার শৈশবকালে। রতন টাটার বাবা এবং মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল একসময়। বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর রতন টাটা তার ঠাকুমার কাছে থাকা শুরু করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়।

ঠাকুমার উদ্যোগে রতন টাটা আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছিলেন এবং সেখান থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসার দায়িত্ব হাতে নেওয়ার আগে কিন্তু রতন টাটা একজন চাকরিজীবী হিসাবেই নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি চাকরি পেয়েছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসে। দেশে ফেরার আগে তিনি সেখানে দু’বছর চাকরি করেছিলেন।

আরও পড়ুন 👉 কোটি কোটি টাকার মালিক, কিন্তু খান সামান্য! রতন টাটার খাদ্য তালিকা অবাক করা

আমেরিকায় থাকাকালীন রতন টাটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এক যুবতীর। ওই যুবতীর সঙ্গে রতন টাটার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের দুজনের মধ্যে বিয়ে একপ্রকার ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে রতন টাটা আমেরিকা থেকে দেশে ফেরেন এবং কথা ছিল ওই যুবতীও দিন কয়েকের মধ্যে ভারতে আসবেন। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক চললেও রতন টাটা ও ওই যুবতীর মধ্যে বিয়ের মাঝে কাল হয়ে দাঁড়ায় ভারত চীন যুদ্ধ। ১৯৬২ সালে ভারত চীন যুদ্ধ শুরু হলে ওই যুবতীর বাবা-মা যুদ্ধ ভয় আর অনিশ্চয়তার জন্য যুবতীকে ভারতে পাঠাননি। এরপর স্বাভাবিকভাবেই সময়ের নিয়মের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে আর তাদের দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।

রতন টাটার বিয়ে না হওয়ার পিছনে প্রথম কারণ হিসাবে ১৯৬২ সালের ভারত চীন যুদ্ধকে ধরা হয়ে থাকে। তবে এরপরেও একাধিকবার সম্পর্কে জড়ালেও রতন টাটা কাউকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার মতো খুঁজে পাননি। ২০০০ সালে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই তিনি জানিয়েছেন। এর পিছনেও যে কারণ ছিল তা হল কর্মব্যস্ততা। রতন টাটা জানিয়েছিলেন, তার জীবন তাকে দোটানোর মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। কাজের জন্য তিনি দিনের পর দিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা ছুটে যেতেন। নিজের জন্য তার সময় ছিল না বললেই চলে। তবে বিয়ে হয়নি অথবা কাউকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার মতো খুঁজে পাননি বা নিজেকে সময় দিতে পারতেন না, এসব নিয়ে কখনোই রতন টাটা আফসোস করেন না।