Special facilities are provided at railway stations for senior citizens: আর সিঁড়ি ভেঙে কষ্ট করে উঠতে হবে না রেল স্টেশনে। হেঁটে হেঁটে যেতে হবে না এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে। খুব সহজেই লিফট বা এস্কেলেটরের মাধ্যমে যাত্রী পৌঁছে যাবেন এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে। হ্যাঁ, এমনই বিশেষ ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। খবর হয়েছে প্রায় ৫৯৭টি রেলওয়ে স্টেশনে (Railway Station) বসানো হবে লিফট এবং এস্কেলেটর। রেল সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধেক স্টেশনে বসানো হয়েছে লিফট এবং এস্কেলেটর।
বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমগুলির মধ্যে অন্যতম পরিবহণ মাধ্যম হল রেল পরিবহন। প্রতিদিন যে পরিবহণের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কম খরচে এবং আরামদায়কভাবে পৌঁছে যাচ্ছেন বহু যাত্রী। ফলে সেই যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর রেল মন্ত্রক। আনছে রেলস্টেশনগুলিতে (Railway Station) একের পর এক বদল। তেমনি যাত্রীদের সুবিধা দিতে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে রেল মন্ত্রক। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুগম ভারত মিশন’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা প্রদান করছে রেল মন্ত্রক। যাতে খুব সহজেই যাত্রীরা এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে যেতে পারে।
সূত্রের খবর, রেল মন্ত্রকের এই উদ্যোগ শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে। প্রতিদিন ধাপে ধাপে সেই কাজের অগ্রগতি ঘটে। তবে ২০২৩ সালে এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সরকার তরফে একটি খসড়া তৈরি করা হয়। যেখানে মসৃণভাবে রেল স্টেশনের এই বিষয় নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেই সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে এই উদ্যোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। খবর রয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে একাধিক স্টেশনে প্রায় এক ১,১৪৪টি এস্কেলেটর বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে এই উদ্যোগে তৎপরতা দেখা দিলে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৩৭২টি স্টেশনে প্রায় ১,২০০টিরও বেশি এস্কেলেটর বসানো হয়। তবে সেই এস্কেলেটর বা লিফট বসানোর সংখ্যা রেলমন্ত্রক তরফে আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ৫৯৭টি।
আরও পড়ুন ? Howrah Junction New Achievement: হাওড়া রেল স্টেশনের বড় প্রাপ্তি! জানলে আপনিও গর্বিত হবেন
মূলত প্রবীন নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সুবিধার্থেই এই উদ্যোগ রেল মন্ত্রকের। কারণ বয়স্ক, অসুস্থ, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যেতে খুবই কষ্ট করতে হয়। আর সেই কষ্টের কথা ভেবেই রেলমন্ত্রক তরফে এই নয়া উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। যাতে সিঁড়ি ভেঙে কষ্ট না করে খুব সহজেই যাত্রীরা অন্যত্র পৌঁছে যেতে পারে। তবে সব জায়গাতেই লিফট বা এস্কেলেটর উভয়ই বসানো হয়নি। কোথাও লিফট বসানো হয়েছে আবার কোথাও এস্কেলেটর।
শুধু এই বিশেষ সুবিধা বা উন্নয়ন গড়ে তোলা নয়, সাধারণ মানুষের কাছে যাতে এই খবর পৌঁছে যায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছে রেল মন্ত্রক। রেল মন্ত্রী তরফে জানা গিয়েছে, ‘অ্যাক্সেসিবল ভারত প্রচার’ অভিযানের মাধ্যমে এই খবর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন গাইডলাইন ওইসাইট, অ্যাপ এবং রেলস্টেশনগুলিতেও এই খবর প্রচার করা হচ্ছে। যাতে দিব্যাঙ্গ, প্রবীণ নাগরিক, অসুস্থ ব্যক্তিরা জানতে পারে এবং সেই পরিষেবা গ্রহণ করে। উন্নয়ন থেমে থাকেনি। প্রতিনিয়ত রেলওয়ে স্টেশনের (Railway Station) উন্নয়নের কাজ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।