Durgapur Sub Divisional Hospital: দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর, চিকিৎসা নিয়ে টেনশন দূর করল প্রশাসন

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

A new OPD has been added to Durgapur Sub Divisional Hospital: ছোটখাটো কোনো অসুখ থেকে জটিল রোগ ব্যাধি এমনকি অনেক অপারেশনের জন্যও বর্তমানে আমাদের রাজ্যের বহু সংখ্যক মানুষ নির্ভর করেন সরকারি হাসপাতালের উপর। তুই অনেকদিন ধরেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Sub Divisional Hospital) প্রতিদিনের রোগের চাপ অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে নানা রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ চিকিৎসক ও নার্সদের। অত্যধিক ভিড়কে সামাল দিতে তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি রোগীর পরিজনরাও দাবি তুলছিলেন হাসপাতালে কি সম্প্রসারণ করে একটি বড় ফাঁকা জায়গায় ওপিডি চালু করার জন্য।

Advertisements

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের (Durgapur Sub Divisional Hospital) রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত হাসপাতালের জন্য নতুন করে বড় জায়গায় ওপিডি চালু করার কথা জানিয়েছিলেন তার বন্ধু শিল্পপতি সন্দীপ দে-কে। সেই কথা শুনে সাধারণ মানুষের কল্যাণে উখড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বর্গীয় বলরাম দে-র স্মৃতিতে তার দুই পুত্র সন্দীপ দে ও বিশ্বরূপ দে সিএসআর প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের জন্য নতুন এক ওপিডি নির্মাণ করে দিলেন। রবিবার এই ওপিডি উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রদীপ মজুমদার। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, দুর্গাপুরের মহাকুমা শাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রমুখ।

Advertisements

রবিবার উদ্বোধন হওয়ার পর সোমবার থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের (Durgapur Sub Divisional Hospital) নতুন এই ওপিডি। জানা গেছে নতুন ওপিডি চালু হওয়ার পর পুরনো ওপিডি-র জায়গায় হাসপাতালের বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ফলে রোগীর বাড়তি চাপ থাকলে আর সমস্যায় পড়তে হবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালে নতুন এই ওপিডি নির্মাণ এর ফলে খুশির হাসি ছড়িয়েছে এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে আসা রোগীর পরিবার পরিজনদের মধ্যেও।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Hospital Outdoor opening time changed: বদলে গেল হাসপাতালের আউটডোর খোলার সময়, এবার আরও উপকৃত হবেন রোগীরা

হাসপাতালের এই উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন ”আমি বলরাম দে-কে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। ওঁর যে গ্রাম সেটাই আমার জন্মস্থান। প্রথমে তিনি শিক্ষক ছিলেন। পরে বাণিজ্যে আসেন এবং নিজ গুণে প্রতিষ্ঠা পান। ওঁর মধ্যে সমাজসেবার যে মানসিকতা ছিল সেটা তাঁর ছেলেদের মধ্যে এসেছে, এটা দেখে আনন্দিত”। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এর বক্তব্য “এই হাসপাতালে সরকার অনেকরকম ভাবে পরিষেবা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। নতুন ডায়ালিসের ব্যবস্থা হয়েছে। নতুন ডিজিটাল এক্স রে, সিটি স্ক্যান, ১০০ বেড বাড়ান হচ্ছে। বাইরের অনেকেও এগিয়ে এসেছেন। তবে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায়, বাকিদের ওপরেও প্রভাব পড়বে।”

Advertisements