নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবার জন্য মুখিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। ভারতে যেমন প্রথম মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছিল কলকাতায় ঠিক সেই রকমই গঙ্গার নিচে আন্ডারওয়াটার মেট্রো (Underwater Metro) প্রথম শুরু হবে কলকাতার বুকে। তবে এই পরিষেবা চালু হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বাসিন্দারা মুখিয়ে থাকলেও এখনও তা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা (Metro Rail) চালু হওয়ার জল্পনা তৈরি হলেও শেষমেষ তা পিছিয়ে যায়।
হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হলে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। নিমেষে হাওড়ার রেল স্টেশনে নামার পর যাত্রীরা পৌঁছে যেতে পারবেন তিলোত্তমায়। এছাড়াও এই মেট্রো রেল পরিষেবা চালু হলে অনেকটাই চাপ কমে যাবে হাওড়া ব্রিজের। হাওড়া ব্রিজের চাপ কমে যাওয়ার পাশাপাশি যানজট সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন যাত্রীরা। তবে কবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা চালু হবে তা নিয়ে এখনো পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি।
এই মেট্রো রেল পরিষেবা চালুর বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু জানা না গেলেও পরিষেবা শুরু হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগোলো মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এই পরিষেবা পরিদর্শনের জন্য আসতে পারেন চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার জনক কুমার গর্গ। তার পরিদর্শনে আসার আগেই হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশ পরিদর্শনের কাজ সেরে ফেললেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন ? Underwater Metro: কানে আসবে ঢেউয়ের আওয়াজ, ঘুরে বেড়াবে মাছ! গঙ্গার নিচের মেট্রো নিয়ে বড় পরিকল্পনা
সম্প্রতি যে পরিদর্শনের কাজ করা হয়েছে তার একটি রিপোর্ট যাবে চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের কাছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরই পরিদর্শনে আসবেন চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। সম্প্রতি এই পরিদর্শনের কাজ চালানোর সময় খতিয়ে দেখার সময় ৪.৮ কিলোমিটার দুটি টানেলের মধ্যে ট্রলি রান হয়। এইভাবে তারা গঙ্গা পার করে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখেন। এর পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হয় হাওড়া, ময়দান হাওড়া এবং মহাকরণ স্টেশন।
এর আগে এই অংশের মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস ডেডলাইন হিসাবে বেছে দেওয়া হয়েছিল। সেইমত কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের পরিদর্শনে সুরক্ষার মাপকাঠি পাশ করতে পারেনি। তবে এবার নতুন করে সামনের সপ্তাহে যদি পরিদর্শন হয় এবং সে ক্ষেত্রে যদি সুরক্ষার মাপকাঠিতে পাস হয় তাহলে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে অথবা মার্চের শুরুতেই এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।