Mukesh Ambani gives the most salary to these employees: ব্যবসা ক্ষেত্রে মুকেশ আম্বানির কৃতিত্ব সম্পর্কে আলাদা করে আর কিছু বলে দিতে হয় না। তার নাম মাথায় এলেই সর্বপ্রথম মনে হয় মুকেশ আম্বানি হলেন ভারতের ধনকুবের। তবে শুধু ভারতের নয় সমগ্র এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি চেয়েছিলেন তার পুত্র ব্যবসা ক্ষেত্রে সফলতার শিখরে পৌঁছে যান। ভারতের ধনকুবের এর ব্যবসার হাতে খড়ি যে তার বাবা ধীরুভাই আম্বানির হাতেই হয়েছিল সে কথা আর বলে দিতে হয় না। তবে ধীরুভাই আম্বানি পুত্রকে ব্যবসার জন্য যোগ্য করে তুলতে মুকেশ আম্বানি কে পাঠিয়েছিলেন বিশেষ এক ব্যক্তির কাছে। সেই ব্যক্তি হলেন রসিকভাই মেসওয়ানি। আজ সেই রসিকভাই এর পুত্ররাই মুকেশের সংস্থার সর্বোচ্চ বেতনধারী (Employees of Mukesh Ambani) কর্মী।
ধীরুভাই অম্বানীর দিদি ত্রিলোচনার সন্তান ছিলেন রসিকভাই মেসওয়ানি। এই রসিকভাই মেসওয়ানিই ছিলেন মুকেশ আম্বানির ব্যবসার গুরু। মুকেশ আম্বানি তার গুরু রসিকভাই এর কাছে ব্যবসার পাঠ গ্রহণ করে অবশেষে রিলায়েন্স সংস্থার কর্ণধার রূপে প্রতিষ্ঠা পান। নিজস্ব ব্যবসাকে প্রসারিত করেন। ধীরুভাই আম্বানি স্বপ্ন ছিল তার পুত্র ব্যবসা ক্ষেত্রে উন্নতি করবে। সেই স্বপ্নকে পূরণ করেন মুকেশ আম্বানি। তারই সংস্থায় কাজ করেন তার ব্যবসা গুরু রসিকভাই মেসওয়ানির দুই পুত্র নিখিল মেসওয়ানি ও হিতাল মেসওয়ানি।
এক দিকে ব্যবসা গুরু এবং অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির পরিবারের আত্মীয় হন রসিকভাই মেসওয়ানি। তাই তাদের সাথে বরাবরই সুসম্পর্ক বিরাজ করছে মুকেশ পরিবারের। রসিকভাই মুকেশের সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। এই সংস্থার সাফল্যের পিছনে তার বড় অবদান ছিল বলেও জানা যায়। তারই পুত্ররা আজ মুকেশ আম্বানির সংস্থায় সবথেকে বেশি বেতন পান (Employees of Mukesh Ambani)। হিতাল মেসওয়ানি ১৯৯০ সালে সংস্থায় যোগ দেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি সংস্থার বোর্ডের একজন অন্যতম সদস্য।
আরও পড়ুন ? Reliance Retail: বাবা বিলিয়নিয়ার হলেও মাসিক বেতনে কাজ করেন মুকেশ কন্যা ইশা, জানুন মাসে কত টাকা পান
জানা যায় হিতাল মেসওয়ানি ব্যবসায় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে তার জ্ঞান প্রবল। তিনি পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্ট ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ডিগ্রি আছে হিতাল মেসওয়ানির। জানা যায় রিলায়েন্স সংস্থার একাধিক প্রজেক্টে সাফল্য এসেছে তার হাত ধরেই। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায় তিনি বছরে ২৪ কোটি টাকা বেতন পান রিলায়েন্স সংস্থা থেকে।
হিতাল মেসওয়ানির আর এক ভাই অর্থাৎ রসিকভাই এর অপর পুত্র হলেন নিখিল মেসওয়ানি। তিনি বর্তমানে মুকেশ আম্বানির সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে তার নিজের ব্যবসায়িক দক্ষতার দ্বারা রিলায়েন্সের মুম্বই ইন্ডিয়ানস এর ব্যবসা দেখাশোনা করেন তিনি। তার বেতনও ২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী একদিনে তাদের উভয়ের বেতন (Employees of Mukesh Ambani) প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। বিশেষভাবে উল্লেখ্য বিষয় হল মুকেশ অম্বানি নিজে সংস্থা থেকে যে বেতন নিতেন তার থেকেও বেশি বেতন পান এই দুই সদস্য। তবে করোনা মহামারীর সময় থেকে মুকেশ আম্বানি এই বেতন গ্রহণ করা বন্ধ করেছেন।