নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যবসা-বাণিজ্য হোক অথবা চিকিৎসা বা পড়াশোনা, কোন না কোন কারণেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আসতে দেখা যায় বাংলাদেশীদের (Bangladeshi)। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার জন্য অথবা ভারত থেকে বাংলাদেশে পৌঁছানোর জন্য রয়েছে বাস এবং ট্রেন পরিষেবা। কিন্তু নতুন করে ট্রেনের ভাড়া (Bangladesh India Train Fare) বৃদ্ধি করায় রীতিমতো মাথায় হাত পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশীদের।
বাংলাদেশ থেকে ভারত অথবা ভারত থেকে বাংলাদেশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে পর্যটক এবং সাধারণ মানুষদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দুই দেশের সরকারের তরফ থেকে ট্রেন ও বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা যখন নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তির খবর দিয়েছে ঠিক সেই সময় অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে চলতে থাকা ট্রেনের টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধি করা। কেননা বাস পরিষেবা থাকলেও অধিকাংশ যাত্রীরা ট্রেন পরিষেবাকেই প্রথম পছন্দ করেন।
বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট তিনটি ট্রেন যাতায়াত করে। এই ট্রেনগুলি হল বন্ধন এক্সপ্রেস, মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং মিতালী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চলে খুলনা থেকে কলকাতা, মৈত্রী এক্সপ্রেস চলে ঢাকা থেকে কলকাতা এবং মিতালী এক্সপ্রেস চলে ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ি। এই তিনটি ট্রেনেরই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Railway) তরফ থেকে। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারত অথবা ভারত থেকে বাংলাদেশ যাতায়াতের খরচ এখন বেড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে ভারতগামী তিনটি ট্রেনের টিকিটের দাম বৃদ্ধি করার কারণ হিসাবে ডলারের বিনিময় হার এবং ভ্রমণ কর বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসাবে জানিয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে নতুন এই ভাড়া ধার্য করা হয়েছে। নতুন যে ভাড়া ধার্য করা হয়েছে, সেই ভাড়া অনুযায়ী এখন বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রীদের ৩৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি খরচ করতে হবে।
ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের এসি সিটের ভাড়া ৪৯০০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া করা হয়েছে ৩৬০০ টাকা। ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা মিতালী এক্সপ্রেসের এসি বার্থের ভাড়া করা হয়েছে ৬৭২০ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৪২৯০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ৩৮৬০ টাকা করা হয়েছে। খুলনা-কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসের এসি সিটের ভাড়া ২৯৫০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ২৩০০ টাকা করা হয়েছে।