নিজস্ব প্রতিবেদন : অর্থনৈতিক (India’s Economy Growth) দিক দিয়ে ভারত দিন দিন উপরের দিকে এগোচ্ছে তা বলে দিচ্ছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান। সম্প্রতি মরগান স্ট্যালনি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে আর সেই রিপোর্টে যা দেখা যাচ্ছে তাতে ভারতের জিডিপি যে জায়গায় পৌছাবে তা চীনের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য যে কোন দেশের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে।
সাম্প্রতিককালে ভারতীয় স্টক মার্কেট প্রায়শই যে রেকর্ড তৈরি করছে তা রীতিমত নজির বিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে। মূলত চীনের মন্দাবস্থায় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টানাপোড়েনের কারণে বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় মার্কেটে বিনিয়োগ করার দিকে ঝুঁকছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন শ্রীবৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে আগামী ২০২৭ সালে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হয়ে দাঁড়াবে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হয়ে দাঁড়াবে তা কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নন, বিশ্বের বিভিন্ন অর্থবিদদের পাশাপাশি একই পূর্বাভাস দিতে দেখা যাচ্ছে আর্থিক উপদেষ্টা মরগান স্ট্যালনিকেও। তাদের তরফ থেকেই জানানো হয়েছে কিভাবে ভারত ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো এবং ইক্যুইটি মার্কেটের হাত ধরে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হয়ে দাঁড়াবে। এমনকি তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একসময় ভারতের বিশ্বের রাজা হয়ে দাঁড়ান কেবল সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন ? চিনের ঘাড়ে ফেলবে নিঃশ্বাস! মোদির আমলে ভারতের GDP বৃদ্ধি নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিল RBI
অন্যদিকে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চাঙ্গা হওয়ার পিছনে কেবলমাত্র বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমনও নয়। এর পাশাপাশি ভারতীয়দের বিনিয়োগও ব্যাপকভাবে ভারতীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির পিছনে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ভাষণে জানিয়েছেন, একসময় মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ৯ লক্ষ কোটি টাকা থাকলেও ১০ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ লক্ষ কোটি টাকা। এই টাকার অংক বলে দেয় কোন জায়গায় পৌঁছাচ্ছে দেশের মানুষদের বিনিয়োগ।
অন্যদিকে যদি জিডিপির কথায় আসা যায় তাহলে দেখা যাবে, মরগান স্ট্যালনি রিপোর্ট বলছে ২০২২ সালে ভারতের বছরে মাথাপিছু জিডিপি ছিল ২৪০০ মার্কিন ডলার। টাকার হিসাবে তা বছরে প্রায় দু’লক্ষ টাকা। প্রতি মাসের হিসাব অনুযায়ী ১৬৬০০ টাকা। তবে এই জিডিপি আগামী ১০ বছরে পৌঁছে যাবে ৩৬০০ মার্কিন ডলারে। ভারতের জিডিপির এই নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তারুণ্যের প্রাবল্য, সামগ্রিক কর্মশক্তি বৃদ্ধি, রিয়েল এস্টেস খাতে উন্নতি এবং বিভিন্ন বিদেশী শক্তিশালী সংস্থার ভারতে আগমন কাজ করবে।