নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ হওয়ার পর তা লাগু হতে বাকি ছিল। তবে দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে এই আইন লাগু করা না হলেও লোকসভা ভোটের আগেই তা লাগু করে দেওয়া হল। এই আইন পাশ হওয়ার সময় থেকেই দেশজুড়ে নানান অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তবে সেসবকে উপেক্ষা করেই কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি এই আইন লাগু করে ইতিহাস রচনা করলো।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ অনুযায়ী যে সকল হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান অথবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা ৫+১ বছরের ভিত্তিতে বসবাসের ফলে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দেশে যে সকল শরণার্থীরা রয়েছেন তারা ভারতে থাকতে পেলেও কিন্তু ভারত সরকারের বহু সরকারি প্রকল্পের কোনো রকম সুবিধা পান না। যেহেতু ভারত সরকারের তরফ থেকে যে সকল প্রকল্প চালু করা হয়ে থাকে সেগুলি কেবলমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্য, তাই তাদের কাছে ভারতের নাগরিকত্ব না থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুবিধা পেতেন না। কিন্তু এবার নাগরিকত্ব লাভ করলেই একের পর এক সরকারি প্রকল্পে (CAA Govt Schemes Facilities) তারা নাম তুলতে পারবেন।
যে সকল শরণার্থীরা নতুন আইনের উপর ভিত্তি করে নাগরিকত্ব পাবেন তারা ভারত সরকারের পিএম অন্নদাতা স্কিমের আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। যে প্রকল্পের আওতায় তাদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হবে। এছাড়াও তারা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন, যে প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্র সরকার বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে চিকিৎসার জন্য। একইভাবে নাম নথিভূক্ত করা যাবে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায়।
এর পাশাপাশি ওই সকল শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করে যদি নিজেদের জায়গা থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে আবেদন করে নিজেদের বাড়ি তৈরি করার সুযোগ পাবেন সরকারি সাহায্যে। ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করার পর তারা ভারতে জমি কিনে সেই জমিতে যেমন চাষাবাদ করতে পারবেন ঠিক সেই রকমই আবার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মানিত যোজনার পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল প্রকল্প রয়েছে সেগুলিতেও নাম তুলতে পারবেন। মোটের উপর তারা ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করলেই অন্যান্য ভারতীয় নাগরিকদের মতই কেন্দ্র সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। কেননা তখন আর তারা শরণার্থী থাকছেন না।