42 thousand crore unclaimed amount is lying in the banks of the country: দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত-বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোতে জমা রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার নেই কোন দাবিদার। পাসবুক বন্ধ না হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে সেই অ্যামাউন্টের সুদ। দাবিদারহীন টাকাগুলির (Unclaimed Amount) মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্ক খাতে জমা রয়েছে ৩৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে জমা রয়েছে ৬,০৮৭ কোটি টাকা। কেন এভাবে পড়ে রয়েছে টাকাগুলি? কেউ দাবিই বা করছে না কেন? কিভাবেই বা দাবি করলে টাকাগুলি পাওয়া যাবে? জানতে হলে প্রতিবেদনটি পুরোটা দেখুন।
RBI সূত্রে খবর, গত ১০ বছর ধরে হাত পড়েনি এই টাকাগুলিতে। আবার কোনো কোনো অ্যাকাউন্টের আমানতকারীরা মেয়াদ পূর্তির পরেও গত ১০ বছরের মধ্যে টাকাগুলির জন্য কোনো আবেদন করেনি। যার ফলে অ্যামাউন্টগুলি দাবিহীন (Unclaimed Amount) হয়ে পড়েছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে সেই অ্যামাউন্টের পরিমাণ।
খবর রয়েছে গত দু দশকে প্রায় ৯০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দাবিদারহীন অ্যামাউন্টের পরিমাণ। যার মধ্যে SBI ব্যাঙ্কে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৬ গুণ। অঙ্ক বলছে ১৯৯৯ সালে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক SBI-এর দাবিহীন অর্থ ছিল ১৪৪.২৬ কোটি টাকা। যা ২০১৩ সালে পরিমাণ হয় ১৪৬৯.৯৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে আরও বৃদ্ধি ঘটে। যার পরিমাণ হয় ২,১৫৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮,০৮৬ কোটি টাকা।
কেন কেউ দাবি করেনি এই অ্যামাউন্ট? RBI সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কারণে এই অ্যামাউন্টের কোনো দাবিদার নেই। হতে পারে কোনো গ্রাহকের মৃত্যু হয়েছে। তো কোনো গ্রাহক তার পরিবার নিয়ে অন্য দেশে চলে গিয়েছে। ফলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করায় যত দিন যাচ্ছে ততই সেই অ্যামাউন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হচ্ছে। আবার কোনো কোনো গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে নমিনি না থাকায় মৃত্যু হওয়ার পরেও তাদের উত্তরাধিকারীরা ক্লেম করতে পারেনি। জমানো টাকা দাবিহীন হয়ে পড়েছে। গচ্ছিত রয়েছে ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতে। শুধু ব্যাঙ্ক নয়, দেশের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, সমবায় এবং বিদেশি ব্যাঙ্কগুলোতেও গচ্ছিত টাকা দাবি হয়ে পড়ে রয়েছে।
তবে চাইলেই এই দাবিহীন টাকা আপনিও দাবি করতে পারেন। যদি আপনার পরিবারের কোনো মৃত ব্যক্তির টাকা দাবিহীনভাবে (Unclaimed Amount) সরকারের খাতে পড়ে থাকে। তবে তার পদ্ধতি হলো আইনি উত্তরাধিকারী প্রমাণ দেখানো। উত্তরাধিকার সূত্রে ওয়ারিশন বা অন্য কোনো প্রমাণ পত্র দেখালে ব্যাঙ্ক তরফে সেই অর্থ ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের দিয়ে দেবেন। তার সাথে পাওয়া যাবে উপযুক্ত সুদও।