নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে ভারতে মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটি কোটি। ভারতে এই বিপুলসংখ্যক মানুষদের যারা পরিষেবা দিয়ে আসছে তারা হল Airtel, Jio, Vi এবং BSNL। এই সকল টেলিকম সংস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশের কোটি কোটি গ্রাহকরা। তবে একজন গ্রাহকের নিজের টেলিকম নেটওয়ার্ক পছন্দ না হলে তিনি নিজের মোবাইল নম্বর পোর্ট (Mobile Number Portability) করে অন্য নেটওয়ার্কে চলে যান। যাকে আমরা ছোট করে এমএনপি (MNP) বলে থাকি।
মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি বা এমএনপি বেশ কয়েক বছর ধরে চালু থাকলেও মাঝে মাঝে এই পদ্ধতির নিয়মে বদল আনা হয়। ঠিক সেই রকমই এবারও এমএনপির একটি নিয়মে (New Rules Mobile Number Portability) বদল আনা হলো। নতুন নিয়মের বিষয়ে গত ১৫ মার্চ ট্রাইয়ের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হয়েছে এবং সেই নির্দেশিকা আগামী ১ জুলাই থেকে লাগু হবে বলে জানানো হয়েছে।
যে সকল গ্রাহকরা নিজেদের মোবাইল নম্বর পোর্ট করতে চান অর্থাৎ এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে যেতে চান সেই সকল গ্রাহকদের নতুন এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে সেই সকল গ্রাহকরা সাত দিন এমএনপি করতে পারবেন না যারা সম্প্রতি তাদের সিম কার্ড সোয়াইপ করিয়েছেন। অর্থাৎ একবার সিমকার্ড সোয়াইপ করানো হলে গ্রাহকরা ৭ দিনের জন্য এমএনপি করার সুযোগ পাবেন না। তিনি এমএনপি করতে চাইলে তাকে সাত দিন অপেক্ষা করতে হবে।
সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়া অথবা চুরি হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বা নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহকরা সিম কার্ড সোয়াইপ করে থাকেন। সিম কার্ড সোয়াইপ করানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিকটবর্তী স্টোরে যেতে হয়। সেখানে যথোপযুক্ত নথিপত্র পেশ করার পাশাপাশি গ্রাহকের সমস্ত রকম তথ্য যাচাইয়ের পর নতুন সিম কার্ড দেওয়া হয়। নতুন ওই সিম কার্ডটি আগের নম্বরেই পান গ্রাহকরা। আর এই কাজটি করার পর সাত দিন এমএনপি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল ট্রাই।
ট্রাইয়ের তরফ থেকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে করে প্রতারণার মত ঘটনায় লাগাম টানা যায়। কেননা এখন মোবাইল নম্বরের সঙ্গে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে আধার নম্বর ইত্যাদি লিঙ্ক থাকে। এক্ষেত্রে প্রতারকরা যদি কোন গ্রাহকের সিম কার্ড কোন রকম ভাবে সোয়াইপ করে নিয়ে থাকেন, তাহলেও তিনি যেন তড়িঘড়ি এমএনপি করতে না পারেন তার জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।