D2M Service: লাগবে না ইন্টারনেট, সিমকার্ড! এবার মোবাইলে এমনিতেই চলবে টিভি, সিরিয়াল, বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : এখন দেশের অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী টিভির পরিবর্তে নিজেদের স্মার্টফোনে খবর থেকে শুরু করে সিনেমা, সিরিয়াল সব কিছু দেখে নেন। তবে এসবের জন্য প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট OTT প্লাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন, আর সবচেয়ে জরুরী যে জিনিসটির প্রয়োজন হয় তাহল ইন্টারনেট। সে মোবাইল ডেটা হোক অথবা ওয়াইফাই, যার মাধ্যমেই হোক না কেন ইন্টারনেট লাগবেই।

এতদিন পর্যন্ত এমনটাই সবার জানা থাকলেও এবার এই ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন ব্যবস্থা চালু করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন যে ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মাধ্যমে আর স্মার্টফোনে সিম কার্ড হোক অথবা মোবাইল ডেটা বা ওয়াইফাই কোন কিছুর প্রয়োজন হবে না। এসব ছাড়াই দেখা যাবে টিভি, সিরিয়াল ইত্যাদি।

এখন অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে, কিভাবে মোবাইল ডেটা ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নিজেদের ফোনে এই ধরনের অনলাইন ভিডিও দেখতে পারবেন? বিষয়টি সত্যি অদ্ভুত হলেও d2h পরিষেবা সম্পর্কে আমরা জানি। যে পরিষেবার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি টিভিতে সরাসরি বিভিন্ন চ্যানেল সম্প্রচারিত করা হয়। ঠিক একই ধরনের পরিষেবা আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং এই পরিসেবা হতে চলেছে d2m অর্থাৎ ডাইরেক্ট টু মোবাইল।

আরও পড়ুন 👉 কমবে মোবাইল খরচ, বাড়বে সুরক্ষা! নতুন টেলিকমিউনিকেশন বিলে আপনি পাবেন এই ৬ সুবিধা

শুধু পরিকল্পনা নয়, এর পাশাপাশি এই পরিষেবা দ্রুত শুরু করার জন্য দেশের ১৯ টি শহরে পরীক্ষামূলকভাবে পরিষেবা প্রদান শুরু হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র। নতুন এই প্রযুক্তির জন্য ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্ট্জ স্পেকট্রাম সংরক্ষণ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমন পরিষেবা চালু করার ফলে 5G নেটওয়ার্কের উপর চাপ কমবে।

গত বছর পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেঙ্গালুরু এবং নতুন দিল্লির কর্তব্যপথ ও নয়ডায় এমন পরিষেবা শুরু হয়। এই পরিষেবার ফলে একদিকে যেমন 5G নেটওয়ার্কের উপর চাপ কমবে, ঠিক সেই রকমই আবার ভিডিও দেখার সময় যে ভিডিও বাফারিং হয় তাও আর হবে না নতুন প্রযুক্তিতে। এই নতুন প্রযুক্তির ফলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে পরিষেবার ক্ষেত্রে। ভারতে এই নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে সাংখ্য ল্যাবস এবং আইআইটি কানপুর।