নিজস্ব প্রতিবেদন : সস্তা, কোন সময়ে এবং স্বাচ্ছন্দে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে রেল পরিষেবার বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে না। যে কারণে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) বিভিন্ন নতুন নতুন রুটে রেল পথ, ট্রেন চালু করার বিষয়ে তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক সেই রকমই একটি নতুন রেলপথের জট কেটে গেলেই হাওড়া থেকে দু’ঘন্টা কমে পৌঁছানো যাবে বিষ্ণুপুর (Tarakeswar to Bishnupur Railway Project)।
হাওড়া থেকে তারকেশ্বর, গোঘাট পর্যন্ত এমনিতেই রেল পরিষেবা রয়েছে। তবে এই রেল পরিষেবাকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত সংযুক্ত করে দেওয়া হলেই হাওড়া থেকে তারকেশ্বর, গোঘাট হয়ে বিষ্ণুপুর যাওয়ার ক্ষেত্রে বাসে যেখানে ৫ ঘন্টা সময় লাগে, সেই জায়গায় ট্রেনে মাত্র ৩ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি খরচ কমবে এবং যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দও অনেক বাড়বে।
পর্যটন শিল্প এবং সাধারণ মানুষদের কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেল এখন তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত নতুন লাইন প্রকল্পটি সমাপ্ত করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে নতুন এই রেল প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হলেই পোড়ামাটির মন্দির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর ও শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বর এক সূত্রে বেঁধে যাবে। এছাড়াও সহজেই পৌঁছানো যাবে কামারপুকুর, জয়রামবাটি অর্থাৎ রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও মা সারদার মন্দির।
তবে এই রেলপথ তৈরি করার ক্ষেত্রে রেলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ। ভবাদিঘি এবং গোঘাট ও কামারপুকুরের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে এমন উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই রেলওয়ে প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ কাজ হয়ে গেলেও ৯৫০ মিটার ট্র্যাক বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। ০.৭৮ একর জমি এখনো হস্তান্তর না হওয়ার কারণেই প্রকল্প এখনও অসম্পূর্ণ। এছাড়াও ভবাদিঘি জলাশয়ের অংশ পাওয়ার ক্ষেত্রেও জট রয়েছে।
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর নতুন যে রেলপথ তৈরির কাজ শেষ করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে পূর্ব রেল, সেই কাজ সম্পূর্ণ হলে কম সময়ে দুই পর্যটন কেন্দ্র পৌঁছানোর পাশাপাশি খরচও অনেক কমে যাবে। কেননা এই রুটে বাসে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ১৫০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু রেল পরিষেবা চালু হলে ওই একই পথ যাওয়া যাবে মাত্র ৩০ টাকায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যাত্রীদের খরচ কমে যাবে ১২০ টাকা। তবে জট কেটে কবে এমন একটি পরিষেবা উপহার হিসাবে মিলবে সেই উত্তর এখনও অধরা।