Post Office provides tax exemption to senior citizens through Monthly Income Schemes: প্রবীণ নাগরিকের একমাত্র ভরসা হলো জমানো টাকা। নিজেদের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে প্রত্যেক বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধারা অবসরের পর ফিক্সড ডিপোজিট বা FD-র মতো নিশ্চিত রিটার্নের স্কিমে বিনিয়োগ করতে চান। বিভিন্ন ব্যাংকের মত পোস্ট অফিসেও আপনি পেয়ে যাবেন এই দুর্দান্ত স্কিমের সুযোগ। এই যোজনার দ্বারা মাসে মাসে আয় করতে পারবেন গ্রাহকরা। আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে জানতে পারব এই স্কিম (Monthly Income Schemes) সম্পর্কে।
আপনিও নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন এই স্কিম সম্পর্কে। পোস্ট অফিসে চালু থাকা যোজনাটির নাম হলো মান্থলি ইনকাম স্কিম বা MIS (Monthly Income Schemes)। এই স্কিমকে কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবেই বলা হয়ে থাকে। FD সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। একটি হল কিউমুলেটিভ FD। অপরটি হল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করার FD। এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করলে আপনার জীবন নিশ্চিন্তভাবে কাটাতে পারবেন।
নন কিউমুলেটিভ স্কিম (Monthly Income Schemes) হলো প্রবীণদের জন্য ভরসার অন্যতম জায়গা। আপনি মাসে মাসে এর ফলে আয় করতে পারবেন। MIS এই নন কিউমুলেটিভ FD স্কিমের আওতায় পড়ে। এই স্কিমে প্রবীণ গ্রাহককে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। গ্রাহকরা সেই টাকা থেকে প্রাপ্ত সুদ মাসে মাসে তুলে নিতে পারেন। যখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে শুধুমাত্র লগ্নি করা টাকা ফেরত পান গ্রাহক।
এই খাতে (Monthly Income Schemes) বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তিন বা ছ’মাস পর আপনি যদি চান সুদের টাকা তুলতে পারেন। আবার এক বছরের মাথায়ও তুলে দিতে পারবে না। তবে এর সঙ্গে শেয়ার বাজারের কোন রকম সম্পর্ক নেই এটি একেবারে ঝুঁকিবিহীন। স্টক মার্কেটের ওঠা নামার সঙ্গে এর সত্যি কোন সম্পর্ক নেই। এই MIS-এ গচ্ছিত টাকার উপর ঋণ নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে 80C ধারা অনুযায়ী দেড় লাখ টাকা আয়করে ছাড় পাবেন। কিন্তু আর্থিক বছরে যদি গ্রাহকের মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি হয় তাহলে অবশ্যই গ্রাহককে TDS দিতে হবে। প্রবীণ নাগরিকরা কিন্তু এক্ষেত্রে ছাড় পাবেন; তাঁদের ক্ষেত্রে মাসে ৫০ হাজার টাকার উপর আয়ে কাটা হয় TDS।
পোস্ট অফিসের MIS স্কিমে আপনি যদি বিনিয়োগ করতে চান তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত লাভজনক যোজনা। পাশাপাশি অসংগঠিত শ্রমিক ও বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরতদেরও লগ্নী করার পরামর্শ দিচ্ছে। তবে কয়েকটি ব্যাঙ্কে প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন স্কিমে 8 শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া হচ্ছে। তালিকাতে আছে DCL, RBL, ইণ্ডাসইন, ICICI ও IDFC ব্যাঙ্ক।