Gold Price West Bengal: ঝড়ের গতিতে বাড়ল সোনার দাম, ১০ গ্রামের দাম কত পড়বে বাংলায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : অধিকাংশ মানুষের কাছেই খুব লোভনীয় একটি জিনিস হল সোনা (Gold)। সোনার গয়না সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রে আবার আলাদা টান রয়েছে মহিলাদের। কিন্তু দিন দিন যেভাবে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তা রীতিমত উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে সোনার অলংকার কেনা মানেই মুহূর্তে পকেট থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা খসে যাওয়া। চলুন দেখে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গে কততে বিকোচ্ছে সোনা?

গত ৩০ মার্চ কলকাতায় ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৬৯ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু এরপর এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম বেড়েছে ২৬৫০ টাকা। এক সপ্তাহের মধ্যে ২৬৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি ক্রেতা থেকে শুরু করে বিক্রেতা সবার কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে। কেননা এইভাবে ঝড়ের গতিতে সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়াই বিনিয়োগ করতে হবে আরও অনেক বেশি।

শনিবার কলকাতায় ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৭৫০ টাকা। এর সঙ্গে আবার কেনাকাটায় রয়েছে জিএসটি। জিএসটি যোগ করলে ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়াবে ৭৩ হাজার ৯০২.৫০ টাকা। সোনার দাম এত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা, যাদের কাছে প্রয়োজনীয় সোনার অলংকার ইত্যাদি কেনা এখন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন 👉 Forex Reserve in India: হু হু করে ভারতে বাড়ছে বিদেশী মুদ্রা, সোনার ভাণ্ডার! চিন্তা বাড়ছে চীনের মতো শত্রু দেশেদের

তবে আবার বাজারের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, কেবলমাত্র সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তা নয়, এর পাশাপাশি আবার সমান হারে দাম বেড়েছে রুপোরও। শুক্রবার খুচরো ১ কেজি রুপোর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার টাকা। আবার এর সঙ্গে জিএসটি ধরলে দাম দাঁড়ায় ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা। পয়লা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার আগে এইভাবে সোনা রুপোর দাম বৃদ্ধি গ্রাম্য এলাকার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা একেবারে শিকেয় তুলে দিয়েছে।

কেননা দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এখন বহু মানুষ রয়েছেন যারা প্রয়োজন হলেও সোনার দোকানের দিকে মুখ ফিরে তাকাচ্ছেন না। আবার যে সকল এলাকা কৃষি নির্ভর সেই সকল এলাকার মানুষদের কাছে এখন সোনার দোকানের দিকে তাকানো রীতিমত ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোনার দাম তরতরিয়ে বাড়ছে, দাম কমার লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে না, এমন পরিস্থিতিতে বিক্রি বাটা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের অবস্থাও অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।