KMRCL kept their word when the metro started from Howrah Maidan: ভারতের প্রথম মেট্রোরেল ব্যবস্থা হল ১৯৮৪ সালে চালু হওয়া কলকাতা মেট্রো রেল পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার কিছু অংশে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়েছিল ভবানীপুর থেকে এসপ্ল্যানেড অব্দি যাবার জন্য। এটি ভারতের দীর্ঘতম মেট্রোরেল পথগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
১৯৭১ সালে সাধারণ মানুষকে দ্রুতগামী যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ সুবিধা দেবার জন্য মেট্রো রেলপথের প্রস্তাব করা হয়। তিনটি রেলপথ এই সময় নির্বাচিত হয়, এক নম্বর দমদম থেকে টালিগঞ্জ যা বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া অব্দি বিস্তৃত রয়েছে, দ্বিতীয় লাইন বিধান নগর থেকে রামরাজাতলা এবং তৃতীয় লাইন দক্ষিণেশ্বর থেকে ঠাকুরপুকুর অব্দি বিস্তৃত।
নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন অব্দি বিস্তৃত রেলপথটির দৈর্ঘ্য ৩১.৩৬৫ কিলোমিটার। এই রেলপথে মোট ২৬ টি মেট্রো রেলস্টেশন আছে। প্যারিসের মেট্রো স্টেশন গুলির মত কলকাতা মেট্রো স্টেশন গুলির নামকরণের ক্ষেত্রেও অনেক সময় বিখ্যাত মনীষীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান অব্দি নতুন একটি রেলপথ চালু হয়েছে। নিত্য যাত্রীদের কাছে এটি খুবই আনন্দের খবর। তাদের জন্য নিত্য যাতায়াত করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
২০১৪ সালে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো লাইনের কাজের জন্য শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্টেডিয়ামের ৩০ মিটার জমি ধার হিসেবে নিয়েছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ (KMRCL)। তারা কথা দিয়েছিল মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হলে জমিটি তারা স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিয়ে দেবে। যেমন কথা তেমনই কাজ। সম্প্রতি ২০২৪ সালে হাওড়া টু এসপ্ল্যানেড রুটের মেট্রো রেল টি চালু করা সম্ভব হয়েছে। অতএব যে কাজের জন্য তারা জমিটি নিয়েছিল সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সুদ সমেত জমিটি ফেরত দিতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। যে ৩০ মিটার অংশ রেল কর্তৃপক্ষ এতদিন নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করেছে, সেখানে একটি গ্যালারি তৈরি করার উদ্দেশ্যে রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ব্লু প্রিন্ট জমা করা হয়েছে হাওড়া জেলাশাসক ও কালেক্টর এর কাছে। গ্যালারি তৈরির সমস্ত ব্যবস্থাপনা করবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
ব্লু প্রিন্ট দেখে ইতিমধ্যে হাওরার পৌর কর্তৃপক্ষ এবং পূর্তদপ্তর অনুমোদন দিলেও, জেলা শাসক এবং কালেক্টরের তরফ থেকে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আর তাই এখনও পর্যন্ত গ্যালারির কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হয়নি সরকারের তরফ থেকে। অনুমোদন পেলেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ গ্যালারির কাজে হাত দেবে এবং স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি দেওয়ালটিও সারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, জমি অধিগ্রহণের সময় স্টেডিয়ামের কাছে যা কথা দেওয়া হয়েছিল তা সম্পূর্ণরূপে পালন করবে রেল কর্তৃপক্ষ (KMRCL)।