নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মহিলাদের প্রতি মাসে হাত খরচ হিসাবে নগদ টাকা তুলে দেওয়ার জন্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প চালু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সরকারে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী সেই আশ্বাস বাস্তবের রূপ দেন এবং যে প্রকল্প চালু হয় তার নাম দেওয়া হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের এখন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আগে এই প্রকল্পে যথাক্রমে ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা দেওয়া হতো। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগেই সেই টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল সরকার।
এই প্রকল্পকে বিভিন্ন সময় বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজ্যে। বিরোধীদের তরফ থেকে কখনো এই প্রকল্পকে ভিক্ষার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, আবার দিন কয়েক আগেই এক বিজেপি নেত্রী এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই প্রকল্প বন্ধ হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন। বরং তারা এই প্রকল্পের নাম বদলে টাকা আরও বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন। এমন ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।
আরও পড়ুন ? SIP: মাসে মাসে ২০০০ টাকা জমিয়ে কত বছর হবে ২৫ লক্ষ! কোথায় করতে হবে বিনিয়োগ
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে যখন নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে সেই সময় গত সোমবার ধুপগুড়িতে বিজেপির জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী জানান, “বন্ধ (লক্ষ্মীর ভাণ্ডার) তো হবে না, বিজেপি যেদিন রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে, তারপরের মাসের পয়লা তারিখ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের নাম বদলে দিয়ে নাম দেবো অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার (Annapurna Bhandar)। আর তিন হাজার টাকা করে মাসে দেব।”
শুভেন্দু অধিকারীর মতোই একই কথা বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখ থেকেও। এবারের এই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল লড়াইয়ের মতোই লড়াইয়ে চলে এসেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar vs Annapurna Bhandar)। আর এই অন্নপূর্ণা ভান্ডার চালু হলে রাজ্যের মহিলারা অনেক বেশি টাকা পাবেন। তবে এই অনেক বেশি টাকা পেতে হলে আগে বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করতে হবে। যা নিয়ে আবার তৃণমূলের তরফ থেকেও কটাক্ষ করতে ছাড়া হচ্ছে না।