Two Bengali girls share the key to success in UPSC: অনেককেই বলতে শোনা যায়, বাঙালি নাকি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় একেবারেই পিছিয়ে। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের দুই বাঙালি কন্যা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের অধিবাসী ব্রততী দত্ত এবং শ্রীরামপুরের অনুষ্কা সরকার। ইউপিএসসি তে ব্রততী দত্তের র্যাঙ্ক ৩৪৬ এবং অনুষ্কার র্যাঙ্ক ৪২৬। কিভাবে তারা এই সাফল্যকে (Key to success in UPSC) ছুঁয়েছেন? সেই অভিজ্ঞতা তারা ভাগ করে নিয়েছেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাথে।
ব্রততী ছোটবেলায় বানিপুরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর, মাস্টার্স করেন ওড়িশা ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি থেকে। ব্রততী নিজেকে ক্লাসের সেরা মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে নারাজ। তিনি বলেন, একাগ্রতা, পরিশ্রম এবং একটু বুদ্ধি করে পড়াশোনা করলেই সাফল্যকে (Key to success in UPSC) ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব।
অশোকনগরের ব্রততী দত্ত মাস্টার্স করার সময়ই সিদ্ধান্ত নেন ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসবেন। এরপর এই উদ্দেশ্যকে সফল করতে ২০২২ সালে তিনি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে কোচিং নেওয়ার পর থেকেই তার ভিত আরও শক্ত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রততী জানিয়েছেন সাফল্য (Key to success in UPSC) পাওয়ার জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতেন। পড়াশোনার জন্য বা নতুন কোন তথ্য জানার জন্য যতোটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করতেন সোশ্যাল মিডিয়াকে।
আরও পড়ুন ? IAS Officer Salary: IAS অফিসার হওয়া মানেই লাইফ স্যাটেল! মাসে মাসে মেলে এত টাকা
ইন্টারভিউ এর জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা পরিচালিত স্টাডি সেন্টার থেকেই প্রশিক্ষণ নেন। একাধিক ইউপিএস অফিসারদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত হয়েছেন তিনি। ইন্টারভিউতে তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি অ্যালেক্সার নাম কখনো শুনেছেন কিনা? তাকে যদি সুন্দরবন বা ওই জাতীয় কোন জায়গার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অথবা এসপি পদে নিয়োগ করা হয়, তাহলে তিনি সেই এলাকার উন্নতি প্রকল্পে ঠিক কি কি পদক্ষেপ নেবেন? ইত্যাদি।
এদিকে শ্রীরামপুরের বাসিন্দা অনুষ্কা সরকার সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট এর ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর ভূগোল নিয়ে স্নাতক হন সেন্ট বেবোর্ন কলেজ থেকে। এরপর মাস্টার্স করেন রৌরকেল্লা এনআইডি থেকে। অনুষ্কা সরকারও সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারেই পড়াশোনা করেন। তিনিও মাস্টার্স করার সময়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি ৪ বারের চেষ্টায় সফলতা লাভ করেছেন। এর আগের ৩ বার সামান্য কিছু নম্বরের জন্য তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্রত্যেকবারের ব্যর্থতা তার মধ্যে হতাশায এনে দিয়েছে। কিন্তু সেই হতাশা তাকে গ্রাস করে ফেলেনি। তিনি বলেছেন, বারবার ব্যর্থ হলে তা নিয়ে হতাশ না হয়ে আবারো মাথা তুলে চেষ্টা করতে হবে তবেই সফলতা (Key to success in UPSC) আসবে।