Inflation: সস্তায় সবার প্রথমে দিল্লী, শেষে মণিপুর! কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

As a result of inflation, the North East is the most affected in the country: ভারতের মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) বর্তমানে চরম পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে এদেশের প্রত্যেকটি মানুষকেই সহ্য করতে হচ্ছে অনেক কষ্ট। এই পরিস্থিতিতে বড় শহরগুলোতে জীবন যাপন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে আর্থিক ভাবে অনেক কষ্টকর। মানুষের খরচের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে এরফলে। মার্চের তথ্য অনুসারে, দিল্লিবাসীরা মুদ্রাস্ফীতির কারণে সবচেয়ে কম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর পরিবর্তে মণিপুর, ওড়িশাতে সাধারণ মানুষকে জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে অনেক বেশি দামে। কারণ সারা দেশের মধ্যে মণিপুরে CPI ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি।

Advertisements

রিপোর্ট অনুসারে, প্রকাশিত হয়েছে দেশের ২২ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) তথ্য। এই পরিস্থিতিতে আরো ৪ টি রাজ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৬ শতাংশের বেশি হয়েছে। ওড়িশায় মুদ্রাস্ফীতির হার হল ৭.১ শতাংশ, মণিপুরে এই হার ১০.৫৭ শতাংশ, অসমে ৬.০৮ শতাংশ ও হরিয়ানায় এই মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছেছে ৬.০৬ শতাংশ।

Advertisements

আবার বিহারে এই মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার হল ৫.৭ শতাংশ, অন্যদিকে তেলেঙ্গনায় মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ হয়েছে ৫.৬ শতাংশ। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেরই মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ৪ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে। জানেন কি তালিকাতে কোন কোন রাজ্যের নাম রয়েছে? আছে হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছড়িশগড়, তেলেঙ্গনা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল।

Advertisements

এরপর তালিকায় আছে মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখন্ড, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য। যেখানে মুদ্রাস্ফীতি হার রয়েছে ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির হার রয়েছে ৩.৬৮ শতাংশ। দিল্লিতে এই মুদ্রাস্ফীতির হার রয়েছে ২.২৯ শতাংশ। আবার বাংলার তুলনায় দিল্লিতে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার কিন্তু কম।

আরও পড়ুন ? JioCinema Subscription Plans: কেন অ্যাড দেখবেন! প্রতিদিন ১ টাকারও কম খরচে দেখুন অ্যাড ফ্রি JioCinema, রইল প্ল্যান

শহরাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মধ্যে ওড়িশায় মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার সবচেয়ে বেশি। ভারতের মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। পরবর্তী তালিকায় আছে রাজস্থান ও তেলেঙ্গনা। গত মাসে সারাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আসলে খাদ্যমুদ্রাস্ফীতিতে পতনের জন্যই খুচরা মুদ্রাস্ফীতি মার্চ মাসে পাঁচ মাসের সর্বনিম্ন ৪.৮৫% তে নেমেছে। ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড করা কমেছে অর্থাৎ ৫.১%। গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি আবার ৫.৫% এর বেশি ছিল, আর শহরে হয়েছে ৪.১%।

মুদ্রাস্ফীতির হারের তারতম্য রয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে এবং এর পেছনে রয়েছে বহু কারণ। যার মধ্যে সরবরাহ ও আবহাওয়ার প্রভাব অনেকটাই বেশি। সম্প্রতি খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কমলেও শাকসবজি, ডাল এবং বহু খাদ্যদ্রব্যে কিছু চাপের সীমা রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য ও পানীয়ের মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৭ শতাংশ থাকবে।

Advertisements