Teacher Lost Job: মন বসত না পুলিশের চাকরিতে! ছেড়ে হন শিক্ষক, আর এখন নিঃস্ব

Antara Nag

Published on:

Advertisements

He left the police service to work as a teacher and now he has lost his job: স্বপ্নের চাকরি পাবার আশায় একেবারে নিঃস্ব হতে হয়েছে নদিয়ার প্রবীর মজুমদারকে। কি হয়েছে তার সাথে? তিনি ১১ বছর ধরে পুলিশের চাকরি করতেন, তবে তাঁর স্বপ্নের পেশা ছিল শিক্ষকতা (Teacher Lost Job)। শিক্ষকতার চাকরি করতে গিয়ে সবকিছু হারাতে হলেও তাকে।

Advertisements

তিনি পুলিশের চাকরি করতেন পাশাপাশি সিফটিং ডিউটির মাঝে পড়াশোনা করেছেন স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার জন্য (Teacher Lost Job)। এমনকি তিনি বিএড সম্পূর্ণ করেন। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন ইনি। ২০১৮ সালে পাশ করে চাকরিতেও যোগদান করেন। তবে সবকিছুই ওলট-পালট হয়ে গেছে সোমবারে হাইকোর্টের নির্দেশে। ১৯ হাজার যোগ্যদের ভিড়ে চাকরি গিয়েছে বহু যোগ্য প্রার্থীদের। সবাই এখন তাকে আগের চাকরি ছাড়ার জন্য নানা কথা বলছে। ধর্মতলায় যোগ্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিক্ষোভ- আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তিনিও।

Advertisements

তার ছোটবেলা কেটেছে অর্থ কষ্টের মধ্যে। কলেজ পাশের পর চাকরির খোঁজ করছিলেন। বন্ধুদের থেকে শোনার পর তিনি পুলিশের চাকরি জন্য চেষ্টা করেন। চেষ্টা করে চাকরির পরীক্ষা দিয়ে পেয়ে যান পুলিশে চাকরি। ভালো চাকরি পেলে হবে যে তার তো মনের স্বপ্ন শিক্ষকতা করার (Teacher Lost Job)। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষেরই কিছু স্বপ্ন থাকে এবং তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতা করার। পুলিশে চাকরি করতাম কিন্তু মনে মনে চাইতো শিক্ষক হতে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? SSC: মিউজিক্যাল চেয়ার আজ ফাঁকা! একই চেয়ারে তিনজন বসেও শেষমেশ হল না রক্ষে

পুলিশের চাকরি যথেষ্ট কষ্টের এবং পরিশ্রমের। বিভিন্ন শিফটে তার ডিউটি পড়তো। বন্ধুদের সহযোগে নোটস নিয়ে সেই ডিউটির মাঝখানে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। ২০০৯ সালে ইন্টারভিউ পর্যন্ত গিয়েছিলেন প্রবীর। তবে সেখানে তিনি বাদ পড়ে গেছিলেন। পড়াশোনা কখনো তিনি বন্ধ করেননি। ২০১৬ সালে ফের এসএসসি পরীক্ষায় বসেন এবং চাকরিও পান (Teacher Lost Job)। ২০১৮ সালে রানাঘাটের স্কুলে চাকরিতে যোগ দেন। প্রায় ছয় বছর তিনি চাকরি করেছেন।

সোমবার দিন হাইকোর্টের রায়ের জন্য চাকরি হারিয়েছেন বহু শিক্ষক। দুর্নীতি রোধ করার জন্য এই প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রবীরবাবুর অবস্থা সত্যিই শোচনীয়। সবাই বলছে সিকিওরড চাকরি কেন ছাড়লো সে। যোগ্য প্রার্থীরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার জন্য। প্রবীরের বাড়িতে আছে বৃদ্ধ বাবা-মা, আগেই তার স্ত্রীর কঠিন অপারেশন হয়েছে। তাদের বাড়িতে রয়েছে আড়াই বছরের সন্তান এবং হঠাৎ করে আদালতের রায় এর জন্য আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে এই পরিবারের মাথায়। তিনি আরো বলেন, আজ স্ত্রীর পাশে থাকার সময় আমার, কিন্তু আজ আমি ধর্মতলায়। কথাটি বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Advertisements