নিজস্ব প্রতিবেদন : দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), যে একটি নামই বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট। যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে রাজনীতি। যার মুখে কোন কিছু আটকায় না বিরোধীদের আক্রমণ করার সময়। মেদিনীপুর থেকে প্রথমবার সংসদ হওয়ার পর এখন তাকে কঠিন লড়াইয়ে নামতে হয়েছে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে। এই কেন্দ্র থেকেই বুধবার বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আর সেই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে তার সম্পত্তি (Dilip Ghosh Property), শিক্ষাগত (Dilip Ghosh Education Qualification) যোগ্যতা সহ অন্যান্য বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
প্রথমেই যদি রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বার্ষিক রোজগারের দিকে চোখ রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তার রোজগার ছিল ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ২৩০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তার রোজগার ছিল ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৬০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তার রোজগার ছিল ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৫০ টাকা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, যে তালিকা বেশ লম্বা।
দিলীপ ঘোষের ৪টি ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছাড়াও রয়েছে হাতে নগদ মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও রয়েছে এলআইসি, পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ। তবে তার নামে কোন গাড়ি নেই। এছাড়াও নেই সেই রকম কোন সোনা বা অন্য কোন বহুমূল্যবান ধাতুর অলংকার। আর এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা। যা অবশ্য তার স্থাবর সম্পত্তির থেকে অনেক কম।
আরও পড়ুন ? Dilip Ghosh: কথায় কথায় ‘রগড়ে’ দেন! কীভাবে কেটেছে দিলীপ ঘোষের ছোটবেলা
দিলীপ ঘোষের ১.৮৮ একর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। যে জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি যে কুলিয়ানায় ৮০০ বর্গফুটের বাড়ি পেয়েছেন তার বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তার নামে লেদার কমপ্লেক্সে ৩৪৮৩ বর্গফুটের যে ফ্ল্যাট রয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য ৯৯ লক্ষ টাকা। আর এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে আবার তার নামে ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ রয়েছে।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এমনকি এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। এক্ষেত্রে তিনি হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে যা বলেছেন তা হল, তিনি ১৯৮২ সালে ঝাড়গ্রাম আইটিআই থেকে পাশ করেছেন।