A new coal mine was discovered while digging a well: জলের সমস্যা দেখা দেওয়ায় মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে এলো দেশের জাতীয় সম্পদ কয়লা (Coal Mine)। পাওয়া হলো না জল। এদিকে মাটির নীচে সাজানো কাশো সোনা। সেই কালো সোনা নিয়েই হইচই স্থানীয় এলাকায়। কোথায় মিলল এই কয়লার সন্ধান? সত্যিই কি সেখানে সাজানো রয়েছে কালো সোনা, কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?
প্রসঙ্গত, কয়লা (Coal Mine) উত্তোলন নিয়ে বীরভূমের মোহাম্মদ বাজারে কাজ শুরু করেছে বাংলা সরকার। কয়লা খনি গড়ার জন্য দরকার জমি। আর সেই জমি হস্তান্তর করার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। তবে তার জন্য সতর্কভাবেই পা ফেলছে রাজ্য সরকার। যাতে জমি অধিগ্রহণের পর পরবর্তীকালে নন্দীগ্রামের মতো সমস্যায় পড়তে না হয়।
খবর রয়েছে, পূর্বেই বীরভূম মোহাম্মদ বাজারের দেউচা পাঁচামির জায়গায় ৪৩০ একার জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। যেখান থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। যার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর সবমিলিয়ে মোট তিনটি মৌজার ৩৭ একর জমি হস্তান্তরিত করা হয়েছে। এখানে কয়লা খনি তৈরির জন্য পুনর্বাসন, কার্যালয় এইসবের ব্যবস্থাও প্রদান করা হবে। আর এই আবহেই কালো সোনার খবর মিলল বাংলার অন্য এক জায়গায়।
সম্প্রতি, কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে জলের বদলে কয়লা উঠে এলো ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। আসানসোলের কাছেই অবস্থিত এই জায়গাটি। যেখানে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরামর্শে চলছিল কুয়ো খোঁড়ার কাজ। প্রায় ২২ ফুট মতো খোঁড়া হয়েছিল মাটি। আর তারপরেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো কয়লা। আরো কিছুটা করার পর দেখা যায় মাটির নীচে ধাপে ধাপে সাজানো রয়েছে কয়লা। যা দেখে কাজ বন্ধ করে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এবং পুরসভার মেয়রকে খবর দেয় কলেজ অধ্যক্ষ মহাশয়।
কারণ কয়লা হল জাতীয় সম্পদ। যা বিনা অনুমতিতে সরিয়ে ফেলা বা স্থানান্তর করা অপরাধ। মূলত এই গ্রীষ্মের সময় আসানসোলে জলের সমস্যা দেখা যায়। আর সেই কারণেই চলছিল এই কুয়ো খোঁড়ার কাজ। সেখানেই সন্ধান মিলে কয়লার। তবে সত্যিই কি ওই জায়গায় কয়লার (Coal Mine) স্তর রয়েছে? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, হয়তো ওই জায়গায় কয়লা থাকতে পারে। তবে পরীক্ষার আগে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাই পরীক্ষা করলে তবেই জানা যাবে যে ওখানে কয়লার স্তর রয়েছে কিনা।