After El Nino, South Asia is going to fall under the grip of La Nina: মার্চের শুরুতেই তীব্র দাবদাহের সতর্কতা জানানো হয়েছিল আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। মার্চ, এপ্রিল ২ টি মাসেই তীব্র দাবদহের শিকার হয়েছে গোটা দেশ। রোদের তাপ ও গরমে খারাপ অবস্থা সকলের। এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মে মাসে স্বস্তি মিলবে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না আবহাওয়া দপ্তরও। জুন মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু এবার গ্রীষ্মকাল আর বর্ষাকাল নিয়ে সঠিকভাবে কোন তথ্য জানানো যাচ্ছে না। তবে একটু হলেও স্বস্তির খবর জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগস্ট মাসে লা নিনার (La Nina) প্রভাবে হতে পারে প্রবল বৃষ্টি।
গোটা দক্ষিণ এশিয়া পুড়ছে রৌদ্রের তাপে। মার্চ মাসের শুরু থেকে তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে। তাপমাত্রা ৪০৹ থেকে ৪৫° আশপাশেই রয়েছে। গোটা এপ্রিল মাসে আবহাওয়ার একটুও পরিবর্তন হয়নি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, একটু বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মত অপেক্ষা করছে মানুষ। গ্রীষ্মের শেষে বর্ষা কবে থেকে শুরু হবে? তারও কোন সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। তবে বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষাকালে লা নিনা (La Nina) নিম্নচাপের প্রভাবে অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই তীব্র গরমে বর্ষার খবর স্বস্তি এনে দিলেও, অতি বৃষ্টির ফলে চাষের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরামের একটি প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। বর্ষার মৌসুমে অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ এলাকায়। তবে উত্তর-পূর্ব এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে আবহাওয়া দপ্তর। মূলত লা নিনার (La Nina) প্রভাবেই হবে এই বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে। বৃষ্টির পরিমাণের স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে এ বছরের বৃষ্টিপাত। অতি বৃষ্টির ফলেও ক্ষতির মুখোমুখি দাঁড়াতে পারে দক্ষিণ এশিয়া।
আরও পড়ুন ? Coal Mine: কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মিললো কালো সোনা, ফের বাংলার নতুন জায়গায় কয়লার সন্ধান
প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু ইকুয়েডর উপকূল বরাবর সামুদ্রিক উষ্ণ স্রোতের দক্ষিণ অভিমুখী প্রবাহ কে বলা হয় এল নিনো। বিপরীত অবস্থা অর্থাৎ উত্তর অভিমুখী প্রবাহকে বলা হয় লা নিনা (La Nina)। কোন কোন বছর এল নিনোর প্রকোপ দেখা যায় তো কোন কোন বছর লা নিনার প্রকোপ দেখা যায়। চলতি বছরে লা নিনার প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে। এমনই আশঙ্কা করছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টি চাষের জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে আসবে। তবে লা নিনার প্রভাবে যদি বৃষ্টির মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে তা ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে চাষীদের জন্য। বাংলা সহ, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সমগ্র এলাকায় অস্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে উড়িষ্যা বিহার সহ দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্চ থেকে শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। চলেছে গোটা এপ্রিল জুড়ে। মে মাসেও এখনো স্বস্তি মেলেনি। গ্রীষ্মের এই প্রবল দাবদাহের পর বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। প্রথমে অতিরিক্ত গরম আবার পরে লা নিনার (La Nina) প্রকোপে অতিরিক্ত বৃষ্টি সবকিছু মিলে এবছর চাষের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে ১৫ ই আগস্ট সময়ের মধ্যে আমন ধানের বীজ রোপন করা হয়। তাই ওই সময়টাতে কতটা বৃষ্টি হচ্ছে তা যাচাই করা প্রয়োজন। আগস্ট মাসে অতিবৃষ্টির ফলে চাষের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে, তাহলে চাষীদের মুখে হাসি ফুটবে।