China is the largest importer of this one item from India in Indo-China Trade: অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের সুসম্পর্ক বজায় থাকলেও, চীনের সাথে ভারতের সম্পর্কটা শত্রুতারই বলা চলে। সীমান্ত নিয়ে ঝামেলা তো লেগেই রয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধও হয়েছে একসময়। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। এর উদ্দেশ্য একটাই ভারতের বিরোধিতা করা। অথচ মজার বিষয় হলো, চীন কিন্তু অনেকাংশে ভারতের উপরেই নির্ভরশীল (Indo-China Trade)।
খাদ্য সামগ্রী হোক বা নির্মাণ সামগ্রী একাধিক জিনিসের জন্য ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে চলতে হয় চীনকে। যে দেশের ক্ষতি করার জন্য চীন এতটা উঠে পড়ে লেগেছে, সেই দেশের উপরেই নির্ভর করে চলে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছু। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে চিনের তুলনায় ভারতের আমদানির (Indo-China Trade) পরিমাণ 2.3 গুন বেড়েছে।
অনেকে মনে করেন ভারতে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক জিনিসগুলি সব থেকে বেশি আমদানি করা হয় চীন থেকে। কিন্তু এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। বরং বলা চলে চীন বেশ কিছু জিনিস রপ্তানি করে ভারতে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তো রয়েছেই, এছাড়াও ওষুধ, রাসায়নিক, টেক্সটাইল ইত্যাদি জিনিস চীন ভারতে রপ্তানি করে থাকে। ভারতও অবশ্য চীনে বেশ কিছু জিনিস রপ্তানি করে। যেমন – মশলা, চাল, ডাল, প্যাকেট ফুড, প্রক্রিয়াজাত ফল ইত্যাদি।
আরও পড়ুন ? Lithium Processing: চীনের ভরসা শেষ! এবার ব্যাটারির লিথিয়াম নিয়ে বড় পরিকল্পনা ভারতের
ভারত থেকে চীনে সবথেকে বেশি রপ্তানি (Indo-China Trade) করা হয় লবণ। চীনে লবণের চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশই মেটায় ভারতবর্ষ। চীন ভারত থেকে সবথেকে বেশি পরিমাণে নুন কেনে। ভারত থেকে নুন কেনার তালিকায় নাম রয়েছে মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়ার মতন দেশগুলিরও। তারাও বেশ ভালো পরিমানের নুন কেনে ভারতের কাছ থেকে। এছাড়া ভারতের অন্যতম শত্রু দেশ পাকিস্তানও ভারতের কাছ থেকেই নুন কিনে ব্যবহার করে নিজের দেশে।
চীন ভারত থেকে আরও অনেক কিছুই আমদানি (Indo-China Trade) করে। মাছ, ভেষজ তেল, গয়না, দামি দামি রত্ন থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের দ্রব্য এমনকি বৈদ্যুতিন বেশ কিছু সরঞ্জামও ভারত থেকে কিনে ব্যবহার করতে হয় চীনকে। এছাড়াও লোহা আর ইস্পাতের আমদানিও ভারত থেকেই করে থাকে চীন। এতকিছুর পরেও ভারতকেই নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু বানিয়ে রেখেছে চীন। সম্প্রতি সীমান্ত নিয়ে তাদের দাবি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে দুই দেশেই।