নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি কোনরকম লুকোচুরি না রেখে আর পাঁচজন প্রার্থীর মতোই জমা দিয়েছেন নিজের হলফনামা (Narendra Modi’s Affidavit)। যেখানে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ তুলে ধরা হয়েছে।
নিজের হলফনামায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের রোজগার প্রসঙ্গে যা জানিয়েছেন তা হল, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তার রোজগার ছিল ১১ লক্ষ ১৪ হাজার ২৩০ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ১৭ লক্ষ ২০ হাজার ৭৬০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ১৭ লক্ষ ৭ হাজার ৯৩০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ১৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৭০ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রোজগার ছিল ২৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮০ টাকা। হলফনামায় তিনি নিজেকে বিবাহিত উল্লেখ করলেও স্ত্রীর সম্পর্কে কোন তথ্য নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে হলফনামা থেকে যা হিসেব-নিকেশ পাওয়া যায় তাতে তার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ২ লক্ষ ৬ হাজার ৮৮৯ টাকা। এর মধ্যে নগদ রয়েছে ৫২ হাজার ৯২০ টাকা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় অ্যাকাউন্ট, রয়েছে বন্ড, রয়েছে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, লাইফ ইন্সিওরেন্স ইত্যাদি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রয়েছে ৪টি সোনার আংটি, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে কোন গাড়ি নেই।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার স্থাবর সম্পত্তির যে হিসেব দিয়েছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে, তার নামে না আছে কোন চাষযোগ্য অথবা অচাষযোগ্য জমি। এছাড়াও তার নামে কোথাও কোনো রকম বাণিজ্যিক ভবন নেই। ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী তার কেবলমাত্র একটি বসতবাড়ি ছিল গান্ধীনগরে। যেটি ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কিনেছিলেন। যখন ওই বাড়িটি কিনেছিলেন তখন তার দাম ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৮৮ টাকা। বর্তমানে ওই বাড়ির ২০১৯ সালে আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। তবে এবারের হলফনামায় ওই বাড়ীর উল্লেখ নেই। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কোথাও কোনোরকম ঋণ নেই বলেই তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
এবার যদি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে নজর রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি ১৯৬৭ সালে গুজরাতের এসএসসি বোর্ড থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালের দিল্লির দিল্লি বোর্ড থেকে কলা বিভাগে স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে আমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে MA পাশ করেন।