Under the PMBJK scheme, medicines will be available cheaply in 100 railway stations of the country: জনকল্যাণে আবারো এক বড় পদক্ষেপ রেলের। যাত্রী সুরক্ষার্থে রেলস্টেশনে ওষুধ সরবরাহের পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের। রেলস্টেশনে যাত্রীদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ১০০টিরও বেশি প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল (PMBJK in Rail Stations)। ইতিমধ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু রেল স্টেশন। যেখানে মেডিকেল স্টোরগুলি পরিচালিত হবে লাইসেন্সধারীদের দ্বারা। এর জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে? কোন কোন জায়গাতেই বা খোলা হবে?
প্রসঙ্গত, সাশ্রয় মূল্যে আরামদায়কভাবে এক প্রান্ত থেকে অনুপ্রান্তে পৌঁছানোর অন্যতম ব্যবস্থা হলো রেল ব্যবস্থা। কাজের সূত্রে হোক বা ভ্রমণে যে কোনো উদ্দেশ্যেই বর্তমানে জনসাধারণ বেছে নিচ্ছে রেল পরিবহন।বাড়ছে রেলের যাত্রী সংখ্যা। রেলের যাত্রী সংখ্যা মাথায় রেখেই একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। যেমন রেল ব্যবস্থায় গতি বাড়াচ্ছে তেমন রেলস্টেশনগুলিকেও করে তুলছে অনন্য। আনছে একের পর এক পরিষেবা। তেমনি রেল যাত্রীদের সুবিধা দিতে রেল স্টেশনে মেডিকেল স্টোর (PMBJK in Rail Stations) খোলার পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের।
মূলত যাত্রীদের সুবিধা ও স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখেই এই অনন্য উদ্যোগ ভারতীয় রেলের। ২০২৩ সালে এই প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্য রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে নীতি কাঠামো প্রকাশ করেছে রেল পরিষেবা। এর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বাছাই করা হয়েছে বিশেষ ১০০টি রেল স্টেশন। পরবর্তীকালে দেশের অন্য রেলস্টেশনগুলিতেও এই পরিষেবা আনা হবে বলে জানিয়েছে রেল দপ্তর।
রেলওয়ে সিনিয়র আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল স্টেশনে এই পরিষেবার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১২.৫৩ লক্ষ টাকা। বিশেষত বহু রেলযাত্রীকে দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণের জন্য মাঝেমধ্যে রেলস্টেশনে থাকতে হয়। ফলে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে গেলে স্টেশনের মধ্যে যাতে পরিষেবা পায় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত রেল দপ্তরের। যা অত্যন্ত সাশ্রয়ের মূল্যে যাত্রীরা পরিষেবা নিতে পারবেন। রেলস্টেশন এবং কনকোর্সের জায়গাগুলিতে এই স্টোর খোলা হবে। যাতে রেলস্টেশনের ভিতরে এবং বাইরের উভয় যাত্রীরাই উপকৃত হতে পারেন। এই কেন্দ্রগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আকাঙ্ক্ষিত যাত্রী সুবিধা’ নামে নামাঙ্কিত করা হবে।
তবে রেল স্টেশনে এই স্টোর (PMBJK in Rail Stations) ওপেন করতে গেলে ব্যবসায়ীদের PMBI-এর অনুমতি এবং লাইসেন্স পেতে হবে। যে লাইসেন্স ই-নিলামের মাধ্যমে দরদাতারা গ্রহণ করতে পারবেন। শুধু তাই না রৈল তরফে জানানো হয়েছে, ফার্মেসি পরিচালনাকারীদের ওষুধের স্টোরেজ এবং বিতরণ সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম-কানুন বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিশেষ কিছু রেলস্টেশনে এই পরিষেবা চালু করা হবে। যার মধ্যে তালিকায় রয়েছে বিহার, জন্মু ও কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, দিল্লী, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখান্ড, রাজস্থান প্রভৃতি।